করোনা মহামারি ঠেকাতে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে ব্যতিক্রমী লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে কাতার। এতে উপসাগরীয় দেশটিতে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি যাত্রীদের ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হবে।
দোহায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ড: মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাতারের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ‘কোভিড-১৯ ব্যতিক্রমী লাল তালিকার দেশে’ বাংলাদেশও আছে।-খবর বিবিসি বাংলার
ঢাকার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যতিক্রমী লাল তালিকার কারণে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া-আসা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ সঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে এই তালিকা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি ৮ দেশ হচ্ছে—মিসর, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, বতসোয়ানা, লেসুথু, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে। মূলত এসব দেশের যাত্রীদের ক্ষেত্রে নতুন ভ্রমণবিধি কার্যকর করবে কাতার। শনিবার থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর করার কথা রয়েছে।
উপসাগরীয় ছোট্ট দেশটিতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন। বৈশ্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে করোনা ঝুঁকি কতটা তার ভিত্তিতে লাল ও সবুজ তালিকা ছিল কাতারের। এবার ‘ব্যতিক্রমী লাল তালিকা’ প্রকাশ করেছে দেশটি।
এ তালিকার দেশগুলো থেকে কাতারের বাসিন্দাদের ফেরার পর দুদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলেও তাদের এই বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হবে।
আবার কাতারে অবতরণের আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ও পৌঁছানোর পর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। আর টিকা না-নেওয়া যাত্রীদের কাতারে পৌঁছানোর পর সাত দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। দেশটিতে পৌঁছানোর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি কোয়ারেন্টিনের ষষ্ঠ দিনেও টেস্ট করাতে হবে।
সেই পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেই কেবল সপ্তম দিনে কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। আর টিকা না নেওয়া কোনো যাত্রীই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাবে না বলে জানানো হয়েছে।
কাতারের লাল তালিকায় এখন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫৭টি দেশ আছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.