ইরাকিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাদ্দামকন্যা রাঘাদ সাদ্দাম। আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বাবার ফাঁসি কার্যকরের ১৫ বছর পূর্তিতে এই আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আরববিশ্বে যে পরিবর্তন ঘটছে ইরাকিদের সে পরিবর্তনে খাপ খাওয়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার বাবার প্রতিকৃতির সামনে বসে রাঘাদ সাদ্দাম হুসাইন বলেন, সম্প্রদায় ও পটভূমি বিবেচনায় না নিয়ে ইরাকিদের একে অন্যকে ক্ষমা করে দেওয়ার সময় এসেছে এমনকি যারা ভুল করেছে তাদেরও ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
এর আগে চলতি বছরে আল আরাবিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে সাদ্দামকন্যা বলেছিলেন, প্রকৃত এবং বৈধ কর্তৃপক্ষ না থাকায় ইরান মনে করে ইরাককে তারা সহজে বশে আনতে পারবে।
সর্বশেষ বক্ততৃায় ইরাকের সাবেক এই প্রেসিডেন্টকন্যা বলেছিলেন, আরবের পাশে ইরাক ভিন্ন এক আরব হওয়া উচিত নয়। ইরানকে সংঘাত ও অনৈক্য পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের শক্তি আমাদেরও শক্তি।’
সাদ্দামকন্যা রাঘাদ সাদ্দাম ভবিষ্যতে ইরাকের রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন এমন সম্ভাবনা রয়েছে।
২০০৬ সালে সাদ্দামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া ইরাকের স্পেশাল ক্রিমিনাল কোর্টের উচ্চতর বিচারক ছিলেন হাদ্দাদ। ইরাকি রাষ্ট্রপতি জালাল তালাবানি সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের সংশোধন বা স্থগিত করার কোনো ক্ষমতা তাঁর ছিল না।
অবশ্য ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঈদুল আজহার দিনে কার্যকর হওয়া সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু নিয়ে বেশ সমালোচনা রয়েছে।
হাদ্দাদ বলেন, ইরাকের আইনে ঈদের দিনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কোনো বিধান নেই। কিন্তু সাদ্দাম হোসেন জেল থেকে পালাতে পারেন, এমন যুক্তি দিয়ে সেটি অনুসরণ করা হয়নি।
জুডিশিয়াল কাউন্সিল অনুমোদিত বিশেষ আদালতে সাদ্দাম হোসেনের বিচারকাজ চলে। হাদ্দাদ জানান, এই বিচারকাজে ৩৫ জন বিচারক অংশ নেন। তাঁরা যখন এই বিচারকাজ করছিলেন, তখন দেশটিতে চরম সংঘাত চলছিল।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.