চেক প্রজাতন্ত্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে কয়েকটি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন এবং আহত হয়েছে আরও ৬০ জন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলের ব্রেকল্যাভ ও হোডোনিন জেলায় টর্নেডোতে বেশ কিছু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। বেশ কিছু গাড়িও উলটে যায়। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এক লাখেরও বেশি বাড়ির।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণকৃত কিছু ভিডিওতে দেখে মনে হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি যেন যুদ্ধ আক্রান্ত।
দক্ষিণ মোরাভিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর জ্যান গ্রোলিচ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘এটি একটি জীবন্ত নরক।’
পুরো দেশ থেকে উদ্ধারকারী কর্মীরা উদ্ধারকাজে এসেছেন। প্রতিবেশি অস্ট্রিয়া ও স্লোভাকিয়ার থেকেও উদ্ধারকারীরা যোগ দিয়েছেন।
দক্ষিণ মোরাভিয়ান রেসকিউ সার্ভিসের মুখপাত্র মাইকেলা বথোভা বলেন, ৬৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত। হাসপাতালে আনার পর তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েক ডজনকে চিকিৎসা দিতে হতে হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে, তাই আরও হতাহত হয়েছেন কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
রাস্কি গ্রামের মেয়র মারেক বাবিসজ জানান, টর্নেডোতে গ্রামের অর্ধেকই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘গির্জায় টাওয়ার নেই, প্রাথমকি স্কুলের ছাদ নেই। শুধু ঘরের দেয়ালগুলো রয়েছে।’
সীমান্তবর্তী শহর হোডোনিনেও আঘাত হেনেছে টোর্নেডো। সেখানকার বৃদ্ধাশ্রম ও চিড়িয়াখানা টর্নেডোতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হোডোনিন হাসপাতালের পরিচালক অ্যান্টোনিন টেসারিক বলেন, দেখে মনে হচ্ছে কোনও যুদ্ধক্ষেত্রে। হাসপাতালটিতে প্রায় ২০০ আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
টেসারিক বলেন, ‘এটি ছিল একটি কেয়ামত। সবখানে রক্ত আর অসহায় মানুষের কান্না। তারা নিজেদের জীবন বাঁচিয়েছে আর মাথার ওপরের ছাদ হারিয়েছে।’
টর্নেডোতে যান চলাচল ও বিদ্যুৎ সরবরাহও বিঘ্নিত হয়েছে। গাড়ি চলাচলের পুরো রাস্তা বন্ধ এবং এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
চেক রিপাবলিকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যান হ্যামাকেক এক টুইটে এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে বর্ণনা করেছেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.