তথ্য ও প্রযুক্তি

দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে পর্নোগ্রাফি-টিকটক ও পাবজিতে

দেশে বর্তমানে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের অর্ধেকই খরচ হচ্ছে পর্নোগ্রাফি, টিকটক, ফ্রি-ফায়ার কিংবা পাবজির পেছনে। জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে উঠে আসে উদ্বেগজনক এমন তথ্য।

তবে বিটিআরসি বলছে, ফ্রি-ফায়ার-পাবজির পর, টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপ বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে। সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে আইন করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

 
করোনাকালে দেশে হঠাৎ করে আলোচনায় টিকটক ও লাইকি। এসব অ্যাপে তারকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচারসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
 
ফ্রি-ফায়ার ও পাবজির মতো অনলাইন গেইম কিশোর-তরুণদের আগ্রাসী করতে তুলছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ ওঠার পর বন্ধ করা হয়েছে এগুলো। বন্ধ করা হয়েছে ২০ হাজারের বেশি পর্ন সাইটও।

 
তবে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক দাবি করলেন, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ২৬শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের অর্ধেকই ব্যয় হচ্ছে ভার্চুয়াল গেম, টিকটক, লাইকি ও পর্নোগ্রাফি দেখার পেছনে।
 
তিনি বলেন, শতকরা ৫০ শতাংশই ব্যবহার হচ্ছে পর্ন, গেমিং বুলিংয়ে।
 
দেশে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিতে নতুন আইন করার তাগিদ মুঠোফোন অপারেটরদের। চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানালেন বিটিআরসির শীর্ষ কর্মকর্তা।
 
তারা বলেন, চতুর্থ শ্রেণী থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত ইন্টারনেট এডুকেশন চালু করা উচিত। সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক গাইড লাইন দিতে হবে। আমরা এখন যে যার মতো কাজ করে যাচ্ছি।
 
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় বলেন, সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক একটা পলিসি এখন আসলেই দরকার। আমাদের স্থায়ী সমাধানে যেতে হবে।
 
বর্তমানে দেশে মুঠোফোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি ৩৬ লাখ। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এক কোটি গ্রাহক।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker