ব্যবহারকারী চাইলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে (কাস্টমাইজ) পারবেন। চ্যাটবটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পক্ষপাত–সম্পর্কিত উদ্বেগ সমাধানের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি এর হালনাগাদ করছে। ফলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী নিজের মতো একে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক স্টার্টআপ ওপেনএআই মাইক্রোসফটের বিনিয়োগে সর্বশেষ এই প্রযুক্তি বাজারে আনে। ওপেনএআই বলেছে, তারা চ্যাটবটটির রাজনৈতিক ও অন্যান্য পক্ষপাতমূলক আচরণ কমাতে কাজ করেছে। তবে চ্যাটবটটিতে আরও বৈচিত্র্য আনতে চায় ওপেনএআই।
কাস্টমাইজেশনকে (নিজের চাহিদা অনুযায়ী সাজিয়ে বা বানিয়ে নেওয়া) সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি পথ উল্লেখ করে এক ব্লগ বার্তায় ওপেনএআই বলে, এর অর্থ হলো এমন একটি ব্যবস্থা চালু করা, যেখানে অন্য মানুষ (আমরা নিজেরাসহ) দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করতে পারবে। তারপরও এই ব্যবস্থায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে।
গত বছরের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হয়। প্রযুক্তি–দুনিয়ায় এই চ্যাটবট ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দেয়। এখন চ্যাটবটটির হালনাগাদের খবর এমন সময় এল, যখন কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ওপেনএআই পরিচালিত মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন বিংয়ের উত্তর ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক’ এবং এই সময়ের জন্য প্রযুক্তিটি হয়তো প্রস্তুত নয়।
আবার মাইক্রোসফট বলেছে, ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া বড় পরিসরে চালু করার আগে বিংয়ের উন্নয়নে সাহায্য করেছে। উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এই চ্যাটবটটিকে উত্তর দেওয়ার জন্য ‘উসকানি’ দেওয়া যায়। যদিও এমনটি করতে এটি তৈরি করা হয়নি।
এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই বলেছে, ইন্টারনেটে থাকা বড় লিখিত তথ্যভান্ডার থেকে তথ্য নিয়ে যাতে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিতে পারে, প্রথমে প্রোগ্রামটিকে সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে, মানুষ একটি ছোট পরিমাণ তথ্য যাচাই করে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, তার নির্দেশ দেয়। যেমন কোনো ব্যবহারকারী প্রাপ্তবয়স্ক, সহিংস বা ঘৃণামূলক বক্তব্য আছে, এমন কনটেন্ট চাইলে যিনি যাচাইকারী থাকবেন, তার উচিত চ্যাটজিপিটিকে নির্দেশ দেওয়া যেন সে বলে, ‘আমি এর উত্তর দিতে পারব না।’
আর বিতর্কিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, যাচাইকারী চ্যাটজিপিটিকে উত্তর দিয়ে দেবে।