সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় এক যুবকের। কিছুদিনের মধ্যে তাঁদের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। একপর্যায়ে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নানা কারণ দেখিয়ে প্রায় ৮০ লাখ টাকা নেন মেয়েটি। তারপর হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। প্রথমে হতবিহ্বল হলেও পরে ওই যুবক বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী যুবক। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের উত্তর বিভাগ। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা প্রতারণায় অভিযুক্ত পুষ্পা আক্তার ওরফে আবিরা জাহান কলি এবং চক্রের হোতা সুজন তালুকদার ওরফে শাওন ওরফে তানভীর হাসান ওরফে জাহিদ হাসান ওরফে লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগের ওয়েববেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন দলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো: আশরাফউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের একপর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় ২০ অক্টোবর টাঙ্গাইল সদর থেকে আবিরা জাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের হোতা সুজন তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
ডিবির কর্মকর্তা আশরাফউল্লাহ বলেন, সুজন তালুকদার নারীদের নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলেন। এরপর তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্পা বিভিন্নজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.