কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের কুরিমারা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: দুলাল মিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও এখন পর্যন্ত পান না মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। অতি কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয় পরিবার-পরিজন নিয়ে।
সংসার চালানোর তাগিদে ঢাকা শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এলাকার সবাই “মুক্তিযোদ্ধা দুলাল ভাই” নামে ডাকে।
তিনি উপজেলার দক্ষিণ কুরিমারা গ্রামের বাসিন্দা। এই মুক্তিযোদ্ধা দুলালের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোথাও নেই। একেতো ছিলেন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা, তারপর সেরকম পড়াশোনা নেই। কয়েকবার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উঠানোর জন্য কাগজপত্র জমা দিয়ে সাক্ষাৎকার দিলেও তার নাম আর তালিকায় উঠেনি এখন পর্যন্ত। মুজিব বাহিনীতে ছিলেন “মুক্তিযোদ্ধা দুলাল ভাই”।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাশিদের পুত্র জামাল হোসেন জানান, আমার আব্বা বেঁচে থাকতে বলে গেছে এই দুলাল এর কথা তিনি আমার আব্বার সহযোদ্ধা ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা দুলাল মিয়া জানান, আর্থিক অনটনের কারনে তাকে রিক্সা চালাতে হয় তাই কাগজপত্র নিয়ে দৌড়-ঝাপ করতে পারেন না অফিস -আদালতে।এই বয়েসে এসে শুধূমাত্র একটু সম্মানের জন্য আর পাঁচ মেয়ে দুই ছেলের ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য নিজের নামটি তুলতে চান মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়।