কালের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে। ঘোড়ার কাঁধে ঘানি লাগিয়ে, সরিষা থেকে ঝাঁজালো স্বচ্ছ বিন্দু বিন্দু ফোঁটায় সরিষার তৈল বের করে জীবিকা নির্বাহ করছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ীর আব্বাস আলী।
জানা যায়, উপজেলার কামরাবাদ গ্রামের মৃত কিয়ামতউল্লা বেপারীর ছেলে আব্বাস আলী (৬০) তিনি পাকিস্তান আমলের ১৫বছর থেকে গৃহপালিত পশুর কাধে ঘানি লাগিয়ে সরিষা থেকে সরিষার তৈল বের করে বিক্রয় করছেন। স্বাধীনতার পরে অনেক বছর তিনি এই পেশা বন্ধ রেখে ছিলেন। সাম্প্রতিক পুনাই আবার এই পেশায় ফিরে এসেছেন। ঘোড়া দিয়ে দুইটি ঘানি ব্যবহার করে তৈল সরবাহ করেন তিনি। বর্তমানের এই খাটি সরিষার তেল মানুষের অনেক চাহিদা পুণ্য একটি দ্রব্য। প্রতিদিন তিনি ১ মণ সরিষা ভাঙ্গিয়ে ১৪ কেজি তৈল বের করতে পারেন। প্রতি লিটার তেল ৩৫০টায় বিক্রয় করে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।
ব্যবসায়ী আব্বাস আলী জানান, প্রতিদিন ১৪ লিটার সরিষার তেল সংগ্রহ করতে পারেন এই ঘানি থেকে। ক্রেতাদের অনেক চাহিদা প্রয়োজনীয় চাহিদা মত তেল দিতে পারি না। অনেক সময় ক্রেতা এসে ঘুরে যায়। পরিকল্পনা করছি কিছু দিনের মধ্যে আরো একটি ঘানি তৈরি করবো।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহর রহমতে সরিষা ভাঙ্গিয়ে এই ঘানি থেকে যে অর্থ পাই, তা দিয়ে ভালো ভাবেই সংসার চলে। তবে সরিষার দাম বেশি হওয়াই তেলের দামটা একটু বেশি। নতুন সরিষা আসলে তেলের দাম কমে যাবে। তখন ক্রেতার চাহিদা আরো বাড়বে।
তেল ব্যবসায়ীর মেয়ে আসমা বেগম বলেন, আমাদের এখানে খাটি সরিষার তেল পাওয়া যায়। অনেক লোক আসে প্রতিদিন তেল নিতে। স্বচ্ছ তেল দিতে পারি বলেই অনেক লোক এসে তেল কিনে নিয়ে যায়।
উপজেলার ডোয়াইল থেকে আসা আনিছুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমি প্রায়ই সময়ই এখান থেকে সরিষার খাটি তেল ক্রয় করি। এখানে দাম একটু বেশি হলেও ঝাঁজালো স্বচ্ছ তেল পাওয়া যায়।