জামিন পেলেন না বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। তবে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) আইনজীবীর দাবি মতো আরিয়ানসহ বাকি গ্রেফতারদের তাদের হেফাজতে রাখার আর্জি খারিজ করে দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনসিবি দাবি করে আরিয়ানের কাছে থেকে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছেন তারা। যা এই মাদক মামলায় নতুন মোড় এনেছে।
ইতোমধ্যেই এনসিবি এই মামলায় গ্রেফতার করেছে ১৮ জনকে। এদিন এনসিবির পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, আগামী দিনে আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাসি অভিযান করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেখান থেকে যাদের গ্রেফতার করা হবে তাদের সঙ্গে আরিয়ানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা জরুরি।
এ কারণেই আরও চারদিন অর্থাৎ আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানের হেফাজতের আবেদন করে এনসিবি। কিন্তু এদিন আর এনসিবি হেফাজত নয়, আরিয়ানকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।
বিচারপতি আর এম নেরলিকার বলেন, এনসিবি তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর পরেই আরিয়ানদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। সঙ্গে সঙ্গে আরিয়ানদের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন শাহরুখনিযুক্ত আইনজীবী। সেই অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানি হবে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায়।
এর আগে গত শনিবার (২ অক্টোবর) বিলাসবহুল জাহাজে মাদক পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে আরিয়ান খানকে আটক করে এনসিবি। এনসিবির বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, মুম্বাই থেকে গোয়ার উদ্দেশে একটি বিলাসবহুল ক্রুজ যাত্রা করে। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই ক্রুজে যাত্রা করেন আরিয়ান খান ও তার বন্ধুরা। ক্রুজ মুম্বাই থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণের মাঝেই শুরু হয় পার্টি।
এনসিবির কাছে খবর ছিল, মাঝ সমুদ্রে কর্ডেলিয়াতে পার্টি হবে এবং সেখানে মাদক সেবন করা হবে। পার্টির মাঝপথে অনেকেই যখন মাদক সেবনে টাল-মাটাল অবস্থা ঠিক সেই অবস্থাতেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন এনসিবির সদস্যরা। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর টাকার নিষিদ্ধ মাদক। তার মধ্যে কোকেন, হাশিশ, এমডিএমএর মতো মাদকও রয়েছে।
আরিয়ান জানিয়েছেন, অতীতে কখনও তিনি নেশা করেননি। অনুশোচনা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এমন কোনো কাজ আর তিনি করবেন না।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.