বিনোদন

মুকুটহীন সম্রাটের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মুকুটহীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ হিসেবে পরিচিত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। আজ তাঁর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের এই দিনে ৮২ বছর বয়সে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান। ১৯৩১ সালে জামালপুরের সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন।  ১৯৬৭ সালে তিনি ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’য় অভিনয় করে  চলচ্চিত্রের ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ বা মুকুটহীন নবাব নামে আখ্যায়িত হন।

আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি হয়ে মঞ্চ নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। ঢাকা বেতারের নাটকে প্রথম অভিনয় শুরু করেন ১৯৫৭ সালে। নাটকটির নাম ছিল ‘নওফেল হাতেম’। আনোয়ার হোসেন অভিনীত প্রথম ছবি ‘তোমার আমার’। মহিউদ্দিন পরিচালিত এ ছবিতে তিনি খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৬২ সালে মুক্তি পায় অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘সূর্যস্নান’, এখানে তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর অভিনয় করেন ‘জোয়ার এলো’ (১৯৬২), ‘কাঁচের দেয়াল’ (১৯৬৩), ‘নাচঘর’ (১৯৬৩), ‘দুই দিগন্ত (১৯৪৬), ‘বন্ধন’ (১৯৬৪), ‘একালের রূপকথা’ (১৯৬৫) প্রভৃতি ছবিতে।

১৯৬৫ সালে উর্দু ছবি ‘সাতরং’-এ ট্রাক ড্রাইভার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আনোয়ার হোসেন। এরপর উর্দু ছবি ‘উজালা’য় সুলতানা জামানের বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। পরের বছর বাংলা ও উর্দু ভাষায় নির্মিত ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ ছবিতে কাজ করেন। ‘লাঠিয়াল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে ১৯৭৫ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবির জন্য সহ-অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পান ১৯৭৮ সালে। এরও আগে ১৯৬৭ সালে ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’য় অভিনয় করে নিগার পুরস্কার পেয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। অভিনেতাদের মধ্যে তিনিই ১৯৮৮ সালে প্রথম একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান আসর থেকে আজীবন সম্মাননা পান গুণী এ শিল্পী।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker