বিনোদন

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইচ্ছা জানালেন হিরো আলম!

কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান নয়, ভবিষ্যতে নিজেই নতুন দল গঠনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তিনি নানাভাবে আলোচনার কেন্দ্রে থাকছেন।

উপহারের গাড়ি গরিবদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে, জানালেন হিরো আলম
সম্প্রতি বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে দুই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে সবাইকে তাক লাগিয়েছেন হিরো আলম। এই নির্বাচনের একটি আসনে তিনি মহাজোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এর পরই তিনি হয়ে উঠেন টক অব দ্য কান্ট্রি। তাকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে।

এদিকে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এক টকশোতে অংশ নেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির এবারের পর্বের বিষয় ছিল ‘রাজনীতির সংস্কৃতি ও হিরো আলম’।

এ সময় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিরো আলমের কাছে জানতে চান, হিরো আলমের রাজনৈতিক লক্ষ্য কী? কোনো জোটে বা রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কি না? সরকার পক্ষে বা বিপক্ষে যারা আছেন, তাদের দলে যোগ দেয়ার জন্য কেউ কোনো যোগাযোগ করেছেন কি না?

জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘আমি সব সময় জনসেবা করা পছন্দ করি। সেই উদ্দেশ্য থেকেই রাজনীতি করা। ভোটের আগে বা পরে বড় কোনো রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। কোনো দলে যোগ দিব কি না, এখন পর্যন্ত ঠিক করিনি।’

উপস্থাপক জানতে চান, নিজের কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করবেন কি না? জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘সবারই স্বপ্ন থাকে দল করার। আমারও নতুন দল করার ইচ্ছা আছে। আমি দল করলে নতুন কিছু নিয়ে আসব। কোনো হিংসা থাকবে না, বিবাদ থাকবে না, সুষ্ঠুমতো ভোট হবে। যার যাকে ভালো লাগবে, তাকে ভোট দিবেন। সমাজের জন্য কাজ করবেন।’

এরপর খালেদ মুহিউদ্দীন প্রশ্ন করেন, ‘আপনার মধ্যে কী এমন গুণ আছে যে মানুষ অন্যদের বাদ দিয়ে আপনাকে বেছে নেবেন?’ জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘আমি সৎ পথে চলি, মানুষের পাশে দাঁড়াই, সহযোগিতা করি। মানুষ এখন ক্যাডার চায় না, সুখে–দুঃখে মানুষের পাশে থাকবেন, এমন মানুষ চায়।’

খালেদ মুহিউদ্দীন হিরো আলমের কাছে জানতে চান, ‘নির্বাচনী হলফনামায় মাসিক আয় ২১ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। তাহলে কোটি টাকার বাড়ি করছেন কীভাবে?’

জবাবে হিরো আলম বলেন, কোটি নয়, ৫০ লাখ টাকা হবে। সেই টাকা খরচ হচ্ছে বগুড়ার কেব্‌ল ব্যবসার আয়ের টাকায়। সঞ্চালক পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে কেব্‌ল ব্যবসার আয়ের কথা কী হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে না? হিরো আলম বলেন, কেব্‌ল ব্যবসা তার বাবার। বাড়ি নির্মাণের টাকাও তার বাবা দিচ্ছেন।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker