সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট প্রকাশ করলেন বিজেপি নেত্রী, অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। যেখানে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন তিনি। নিজেই জানালেন কিভাবে এসেছে অনৈতিক প্রস্তাব। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
রূপাঞ্জনা জানান, প্রথমে তাঁর কাছে মেইল আসে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া মেইল অ্যাড্রেসে। কাজসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে নিজের ফোন নম্বর দেন তিনি সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য। এরপরই ওই ব্যক্তি তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেন। আর সেখানেই সরাসরি জানতে চাওয়া হয় তাঁর ‘ফি’ কত।
এমনকি ওই ব্যক্তি সরাসরি বলেন, তাঁর ক্লায়েন্ট চায় দেখা করতে এবং সময় কাটাতে। রূপাঞ্জনা এরপরও বারবার প্রশ্ন করতে থাকেন, কেন হবে এই সাক্ষাৎ? কোনো কাজের সূত্রে? যার জবাব সরাসরি না এলেও বারবার দেখা করার কথা বলা হতে থাকে।
ওই ব্যক্তি আরো জানান, তাঁর ক্লায়েন্ট বিনোদন জগতের কেউ নন, বরং এক ব্যবসায়ী। বাঙালি ব্যবসায়ী। রূপাঞ্জনা সেই বাঙালি ব্যবসায়ী ক্লায়েন্টের ছবি দেখতে চান, পরিচয় জানতে চান এবং বলেন, ওই ব্যবসায়ী যাতে সরাসরি যোগাযোগ করেন। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা ব্যক্তিটি সেই প্রস্তাব এরিয়ে যান।
এর পরই রূপাঞ্জনা দেন কড়া জবাব। লেখেন, ‘আপনার ক্লায়েন্ট আমাকে অ্যাফোর্ড করতে পারবে না। আমার মনে হচ্ছে আপনারা হারেম সেন্টার খুঁজছেন। শুনুন ভাই, আমি আপনাকে একটা কথা বলি-আমি আপনাকে এবং আপনার বাঙালি ব্যবসায়ীকে ঠিক খুঁজে বার করব। আপনারা ভুল জায়গায় কড়া নেড়েছেন।’
সম্পূর্ণ কথোপকথনের স্ক্রিনশটই শেয়ার করেছেন রূপাঞ্জনা মিত্র ফেসবুকে। সঙ্গে সবার কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘আপনারাই বলুন এই ধরনের মানুষের সঙ্গে কী করা উচিত। আমি মনে করি আপনারা সবাই মতামত তৈরি করতে পারেন। বেশ কয়েক বছর ধরে উপেক্ষা করেও এই ধরনের অসুস্থ মানসিকতার লোকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য আসেনি। যারা নারীকে শুধুই পণ্য মনে করে। সমাজও এই ধরনের চাহিদা পূরণ করে। ’
রূপাঞ্জনাই কিন্তু পরিচালক অরিন্দম শীলের ‘কুপ্রস্তাব’-র বিরুদ্ধে একসময় গর্জে উঠেছিলেন। সেই সময়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে তুলেছিলেন প্রতিবাদের ঝড়।