‘হলি আর্টিজান’ এর ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ আটকে আছে সেন্সরে। এ নিয়ে বহু কথা হলেও সিনেমাটির সেন্সরশিপ এখনও দেয়নি সেন্সর বোর্ড।
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ারের নির্মাণ সবাই দেখতে আগ্রহী। তার ওপর এমন এক ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিনেমা, স্বাভাবিকভাবে দর্শক চায় সিনেমাটি মুক্তি পাক। ফারুকী তো অবশ্যই, অন্য নির্মাতারাও চান ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি পাক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফারুকী বিষয়টি নিয়ে সবসময়ই সোচ্চার।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) নিজের ফেসবুক ওয়ালে ‘শনিবার বিকেল’ সেন্সরশিপ না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দিলেন।
পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘ফেব্রুয়ারীর ২ তারিখের মধ্যে শনিবার বিকেল বাংলাদেশের মানুষের সামনে হাজির করতে দিতে হবে। কথা আমাদের একটাই। এর আগে আমাদেরকে আড়েঠাড়ে বলা হয়েছে, উনারা চান না বহির্বিশ্বের মানুষের কাছে শনিবার বিকেল ছবিটা যাওয়ার মাধ্যমে ঐ দুঃসহ স্মৃতি আবার ফিরে আসুক। আই মিন সিরিয়াসলি? ইউ টিউবে এই বিষয়ে হাজার হাজার ভিডিও আছে, আর উনারা ভাবছেন একটা সিনেমা আটকাইয়া এই ঘটনা ধামাচাপা দিবেন। আর শনিবার বিকেল তো বিদেশে দেখানোই হচ্ছে! কোথাও ভাবমূর্তি খসে পড়ার ঘটনাতো শুনি নাই। হলিউড রিপোর্টারতো তাদের রিভিউতে আপনাদের নিয়া হাসাহাসি করছে। তারা বলছে, এই ছবি দেইখা তারা বুঝে নাই ভাবমূর্তি কেমনে খসবে! তাদের মনে হইছে ভাবমূর্তির যদি কিছু হয় এই ছবির ফলে সেটা হইতে পারে ভাবমূর্তি বৃদ্ধি!’
এরপর ৩টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন ফারুকী- প্রথম প্রশ্ন, ‘ফেব্রুয়ারী ৩ তারিখ যে ফারাজ মুক্তি পাবে! এখন আপনি কিভাবে ঐটা ধামাচাপা দিবেন?’
২য় প্রশ্ন,’ শনিবার বিকেলের প্রথম সেন্সর প্রদর্শনীর পর সেন্সর বোর্ড ছবির প্রশংসা করে বলেছেন দ্রুত সার্টিফিকেট দিবেন। কার ইশারায় এটার দ্বিতীয় প্রদর্শনী হলো, সেটার তদন্ত কি কোনো দিন হবে না?’
৩য় প্রশ্ন, ‘বিদেশী কলাকুশলী আনার জন্য শুটিংয়ের আগে আমাদেরকে তথ্য মন্ত্রনালয়ে আবেদন করতে হয়েছিলো। যেখানে আমাদের স্ক্রিপ্ট জমা দিতে হয়েছিলো। স্ক্রিপ্ট পড়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে আমাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল, উৎসাহ দেয়া হয়েছিলো। যেটা আজকে অনুমোদন পায়, কালকে সেটা নিষিদ্ধ হয় কিসের ভিত্তিতে?’