কোটি ভক্ত-অনুরাগীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। কলকাতার নজরুল মঞ্চেই জীবনের শেষ গানটি গেয়েছেন তিনি। এরপরই গায়কের কণ্ঠ চিরদিনের জন্য থেমে গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) মুম্বাই থেকে নিজের দল নিয়ে কলকাতায় আসেন কেকে। কথা ছিল আজও গাইবেন। সেই সুযোগ আর হয়নি, গায়ক তার প্রিয় শহর কলকাতাতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
জানা গেছে, জীবনের শেষ মুহূর্তে মঞ্চে উঠে ২০টি গান গেয়েছিলেন কেকে। প্রথমেই গেয়েছিলেন ঝঙ্কার বিটসে্র ‘তু আশিকি হ্যায়’ গানটি। পর পর গেয়ে চলেন, ‘কেয়া মুঝে পেয়ার হ্যায়’, ‘দিল এবাদত’, ‘মেরে বিনা’, ‘লাবো কো’, ‘তুহি মেরি সব হ্যায়’, ‘আঁখোমে তেরি আজব সি আদায়ে হ্যায়’, ‘অভি অভি’, ‘এমপিথ্রি’, ‘তু জো মিলা’, ‘ইয়ারো’, ‘খুদা জানে’, ‘জারা সি দিল মেঁ দে জাগা,’ ‘আশায়েঁ,’ ‘ম্যায় হুঁ ডন’, ‘তুনে মারি এন্ট্রি’, ‘দেশি বয়েজ’, ‘ডিস্কো’, ‘কোই ক্যাহে’।
সবশেষ তিনি গেয়েছিলেন সবার প্রিয় ‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল, ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পাল…’ গানটি। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যুর খবরে শোকের আঁধার নেমে আসে।
অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার মাঝেই অসুস্থ বোধ করেন কেকে। সেখান থেকে হোটেলে ফিরতেই সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। গায়ককে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
চিকিৎসকরা জানান, গায়ককে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন কেকে।
গতরাতেই স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়েছেন কেকের স্ত্রী জ্যোতি। বুধবার (১ জুন) সকালের ফ্লাইটেই কলকাতায় পৌঁছেছেন তিনি। মায়ের সঙ্গে বাবার মরদেহ নিতে এসেছে ছেলে নকুল। ময়নাতদন্ত শেষে কেকের দেহ নিয়ে মুম্বাই ফিরবেন তারা।
এদিকে কলকাতার অনুষ্ঠানে যারা কেকের সঙ্গী হয়ে এসেছিলেন, তারাই গায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছেন। প্রয়াত গায়ক যে হোটেলে উঠেছিলেন ওই হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও নজরুল মঞ্চে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।