তিন অপমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় টলিউড। ১৫ মে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা গরফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ঝুলন্ত মরদেহ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত বুধবার আসে অভিনেত্রী এবং মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর খবর।
কলকাতার দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় বিদিশার মরদেহ। ২১ বছর বয়সী অভিনেত্রী বাবা মায়ের সঙ্গে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আবার এই মৃত্যুর উত্তাপ না কমতেই ঠিক একদিন পর, শুক্রবার সকালে উদ্ধার হলো মডেল ও অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর মরদেহ।
এতো অল্প সময়ে তিন তিনটি অপমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় চলছে টলিপাড়া থেকে শুরু করে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এই অভিনেত্রীর মরদেহ। প্রয়াত অভিনেত্রী বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। তার মায়ের দাবি, বিদিশার মৃত্যুর পরই হতাশায় ভুগতে শুরু করে সে। তার জেরেই এই আত্মহত্যা।
তবে এই ঘটনায় কোনো সুইসাইড নোট পায়নি। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, পল্লবীর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল এই অভিনেত্রীর। দীর্ঘ দিন ধরে টলিউডে কাজ করছেন মঞ্জুষা। বিদিশার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় তার বন্ধু মঞ্জুষার অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মঞ্জুষা টলিউডে কাজ করছেন বহু দিন ধরে। টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন তিনি। দিন তিন-চারেক আগে পাটুলিতে বাপেরবাড়িতে আসেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবারও ফটোশ্যুট করেছেন তিনি। সে দিন তাঁর স্বামী তাঁকে নিতে এসেছিলেন।
কিন্তু মঞ্জুষার মা তাঁর জামাইকে বলেন, কিছু দিন মেয়েকে বাপেরবাড়িতে রেখে যেতে। এরই মধ্যে বুধবার বিদিশার মৃত্যুর খবর পান তাঁর বন্ধু মঞ্জুষা। তার পর থেকেই অবসাদে ভুগতে থাকেন। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, পল্লবী দের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল অভিনেত্রীর।
মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিনোদন জগতের তৃতীয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা এটি। এর আগে গরফায় পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার মডেল বিদিশারও ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নাগেরবাজার থেকে।
মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহের পাশে পাওয়া যায় একটি ডায়েরির মধ্যে চার পাতার সুইসাইড নোট। তবে বিদিশার আত্মঘাতী হওয়ার পেছনে প্রেমের সম্পর্কের কোন যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে’কে খুন’ ও প্রতারণা, সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ করছে আদালত। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই থাকবেন সাগ্নিক। এই ঘটনায় এবার জেরা করা হবে ঐন্দ্রিলাকে।