বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। ১৯৯২ সালের ১০ জুলাই মাত্র উনিশ বছর বয়সে সালমা আসিফ মিতুর সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বাঁধেন তিনি। তবে বিয়ের পরেও অন্য নারীর প্রেমে পড়েছিলেন এই গায়ক। সেই নারী আর কেউ নয়, ছোটপর্দার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। সম্প্রতি প্রকাশিত আসিফের জীবনীগ্রন্থ ‘আকবর ফিফটি নট আউট’-এ পুরোনো প্রেমের প্রসঙ্গটি স্থান পেয়েছে। আসিফ-দীপার প্রেমের উপাখ্যান বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন বইটির লেখক সোহেল অটল।
বইটি থেকে জানা যায়, শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর আমেরিকা ট্যুরে গিয়েছিলেন আসিফ। সেখানেই অভিনেত্রী দীপা খন্দকারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মার্কিন মুলুকেই তাদের প্রেমের শুরু। টানা কয়েক বছর প্রেমের পর আসিফকে বিয়ের জন্য চাপ দেন দীপা। কিন্তু আসিফ রাজি হননি। এরপর আসিফের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী মিতুর কাছে বিয়ের অনুমতি চেয়েছিলেন দীপা। এমনকি বিয়ে না করলে দীপা আত্মহত্যা করবেন বলেও আসিফের মনে হয়েছিল।
বইয়ের ২৫১ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে- ‘একদিন রাত দুটোর সময় আসিফের সঙ্গে তার বাসায় যান দীপা খন্দকার। সেখানে গিয়ে আসিফের স্ত্রী মিতুর কাছে বিয়ের অনুমতি চান তিনি।’
বইয়ে প্রকাশিত বর্ণনা অনুযায়ী দীপা মিতুকে বলেন, আসলে আমেরিকা থেকে আমাদের সম্পর্কটা শুরু হয়। এখন ও (আসিফ) আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। বলছে দুই দিক একসঙ্গে সামলাতে পারবে না। আপনি আমাদের বিয়ে করার অনুমতি দিন প্লিজ।
কিন্তু সেদিন আসিফের স্ত্রী তাকে বিয়ের অনুমতি দেননি। আর এ ঘটনার কিছুদিন পরই নির্মাতা শাহেদ আলী সুজনকে বিয়ে করেন দীপা খন্দকার।
বইটি থেকে জানা যায়, দীপা খন্দকারকে আমেরিকায় পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন আসিফ। তাকে সেখানেই বিয়ে করে রাখতে চেয়েছিলেন এই গায়ক। কিন্তু দীপা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইটির ৩৬২ পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, ‘দীপার কথা ভাবলে মনে হয়, দীপা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মেয়ে ছিল বলেই তাকে ভালোবেসেছিলেন। শ্রদ্ধাবোধ থেকেই দীপার প্রতি অনুরক্ত হয়েছিলেন। দীপার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কটা নেই আসিফের, তবে শ্রদ্ধাটা রয়ে গেছে।’
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.