বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তারের আইনি লড়াই চলছে। দুই মাস হতে চললো নির্বাচন শেষ হয়েছে, এখনো পদটি নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটেনি। চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত কেউই সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
এদিকে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন ভোটে পরাজিত নিপুন আক্তার। এমন অবস্থায় আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছিলেন ভোটে বিজয়ী চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশ কঠোরভাবে পালন করতে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ।
গত ১৪ মার্চ (সোমবার) নিপুণের বিরুদ্ধে আনা আদালত অবমাননার অভিযোগ শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
কিন্ত তারপরও গত ১৭ মার্চ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন নিপুন। সবশেষ শনিবার (২৬ মার্চ) নিপুনের চেয়ারে বসা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক। ক্যাপশনে কার্যকরী পরিষদের মিটিং বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ছবিতে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকেও দেখা যাচ্ছে। তার নেতৃত্বেই আজকের মিটিং হয়েছে, বিভিন্ন সূত্রে এমন খবরই শোনা যাচ্ছে।
আইন অমান্য করে মিটিং করার ব্যাপারে জানতে ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ‘দেখুন বিষয়টি আমি নিজেও পরিষ্কার না। নিপুনের আইনজীবী বলছেন তার পক্ষে কথা, জায়েদের আইনজীবী বলছে জায়েদের পক্ষে কথা। শুধু তাই নয় মহামান্য বিচারপতিও বিষয়টি পরিষ্কার করছেন না। আমি বা আমরা কী করবো? আমাদের তো মিটিং করতে হবে তাই না!’
আদালতের নির্দেশ গণমাধ্যমের কাছে আছে, কিন্তু আপনি জানেন না- এমন প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি বলেন, ‘আপনাদের কাছে কোর্টের কাগজ থাকলে তা আপনারা ভালো করে বিশ্লেষণ করে দেখুন। আমি তো আর এ্যাডভোকেট না।’
সূত্রের খবর, শিল্পী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি ডিপজল, সহ সভাপতি রুবেলসহ মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত অনেক সদস্যই আজকের মিটিংয়ের বিষয়ে জানতেন না। বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি এসবের কিছু জানিনা। বিষয়টি দফতর ও প্রচার সম্পাদক জানেন। আমি তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি সবাইকে জানাতে। তাঁরা জানিয়েছে কিনা সেটি তাদের জিজ্ঞাসা করুন।’
প্রসঙ্গত, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে অপেক্ষা বেড়েছে। গত ২ মার্চ জায়েদ খানের পক্ষে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর শপথ নিয়ে চেয়ারে বসেছিলেন জায়েদ খান। তবে গত ৬ মার্চ শুনানি শেষে জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আগামী চার সপ্তাহ এ পদে স্থিতাবস্থা থাকবে বলেও আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের একক বেঞ্চ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.