সিয়াম বলেন, ‘আমার পরিবারের জন্য সবচেয়ে বেশি গর্বের দিন। আমাদের পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছিলাম। সিনেমার কাজের স্বীকৃতি বলতে কিছু ছিল না। শুরু থেকে ছোট ছোট অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি আমার জীবনের বড় একটি পাওয়া। পরিবারের জন্য বেশি ভালো লাগছে। এত দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। এবার সবাইকে বলার মতো একটি সেরা পেশাগত পরিচয় পেলাম। পুরস্কারের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীকে ফোন দিয়েছি। পরে আমার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছি। আমার বাবা ও স্ত্রী সবচেয়ে বেশি খুশি।’
সিয়াম সিনেমায় নাম লেখান ২০১৭ সালে। তাঁর প্রথম সিনেমা ছিল ‘পোড়ামন-২’। পরিচালক ছিলেন রায়হান রাফি। সিয়াম বলেন, ‘আমার মতো অল্প দিনের ক্যারিয়ার। প্রথম যখন সিনেমার শুটিং শুরু করি, তখনই ইচ্ছা ছিল জাতীয় পর্যায়ে আমাকে স্বীকৃতি পেতে হবে। কোনো প্রতিযোগিতা করিনি, কাজ করে গেছি। ঠিক ১০ বছর পরে আজ আমার বিশেষ দিন। আমার কাছে মনে হয় এটা আমি এখনো ডিজার্ব করি না। আমার এখনো অনেক কিছু দেওয়ার বাকি রয়েছে। তবে জুরিবোর্ড ও এর সঙ্গে জড়িত সবার কাছে কৃতজ্ঞতা। তাঁরা কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমার দর্শকদের কাছেও কৃতজ্ঞতা।’
এ বছর আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছে সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমাটি। তবে সিনেমাটি সিয়ামকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেবে, এমন কোনো প্রত্যাশা মোটেও ছিল না। সিয়াম বলেন, ‘আমি কোনো সিনেমা নিয়েই তেমন প্রত্যাশা রাখি না। কারণ, প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। অনেক সময় প্রত্যাশার সঙ্গে চাওয়া মেলে না। প্রত্যাশা না রেখে আমি শুধু নিপাট আনন্দ পেতে কাজ করে গেছি। তবে সব সময় একটাই প্রত্যাশা, নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। আমাকে দিয়ে আরও ভালো কিছু হতে পারে। স্বীকৃতির পরে সেই চেষ্টাই থাকবে। অর্জনটা আমার কাজের গতিকে বাড়িয়ে দেবে।’
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.