ভুয়া কাবিননামা করার অভিযোগে মামলায় কারাগারে গেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন।
সোমবার (৪ জুলাই) বাদী পক্ষের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (৩ জুলাই) আদালতে জামিন চাইতে গেলে ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক সুমন হোসেন আলেয়া খাতুন ও ভুয়া কাবিনের দুই সাক্ষীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে। কাবিনে স্বামী হিসেবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানুর ইউনিয়নের সূর্য্যনগর গ্রামের সুমন মিয়াকে স্বামী হিসেবে দাবি করেন। এরপর এ কাবিন দিয়ে আলেয়া খাতুন সুমন মিয়ার কাছে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করেন, আর সেটি না দিলে ৩০ লাখ টাকা চান তিনি। তখন সুমন মিয়া রাজবাড়ী ১নং আমলি আদালতে কাবিননামাটি ভুয়া ও জালিয়াতি উল্লেখ করে মামলা করেন ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর তদন্ত দেয়।
এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে কাবিননামাটি ভুয়া এ মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। এরপর রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে আদালতে জামিন নিতে গেলে ১ নং আমলি আদালতের বিচারক সুমন হোসেন আলেয়া খাতুন ও কাবিননামার দুই স্বাক্ষীকে কারাগারে পাঠায়।
এ মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন হায়দার বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের মো. সুমন মিয়াকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন স্বামী হিসেবে দাবি করে বিরুদ্ধে সুমন মিয়া বাদী হয়ে রাজবাড়ীর ১নং আমলি আদালতে ‘আলেয়া খাতুনের বিয়ের ৩০ লাখ টাকা ভুয়া কাবিননামা’ দাবি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই মামলায় আদালত আলেয়া খাতুন এবং কাবিননামায় স্বাক্ষর করা দুজন সাক্ষীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। মামলার আসামি হিসেবে আলেয়া খাতুন ও তার দুজন সাক্ষী রোববার দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালতের বিচারক তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.