গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সদরচালা এলাকার একটি বৈশাখি মেলা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় রোববার সন্ধ্যা রাতে পুলিশ ইয়াসিন হোসেন (২০) ও সাকিব হোসেন (১৯) নামে আরো দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তাকৃত যুবক হলো, উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের সদরচালা টাওয়ার মার্কেট এলাকার নুরুল ইসলাম নুরু ড্রাইভারের ছেলে ইয়াসিন হোসেন, ও একই গ্রামের সাকিব হোসেন (১৯)। গ্রেপ্তারকৃত এই দুই আসামী মামলার এজাহারভুক্ত রয়েছে বলে পুলিশ জানান।
একই ঘটনায় পুলিশ আগের রাতে অভিযান চালিয়ে দুই নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামী একই গ্রামের শরীফুল ইসলাম ওরফে এলাইচ স্বপন তালুকদারের ছেলে সিফাত তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেন।
সিফাতকে রোববার দুপুরে গাজীপুর আদালতে সিফাত তালুকদারকে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি করা হয়। এসময় একজন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানায় এ ঘটনায় আরো দুই আসামী সাকিব হোসেন ও ইয়াসিন হোসেন নামের আরো দুই যুবক জড়িত ছিল।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে বৈশাখি মেলা থেকে তুলে নিয়ে দুই নারী শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়। সেই মামলা এক নারী শ্রমিকের মা বাদী হয়ে তিন যুবককে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল রহমান মুন্সি বলেন, শনিবার রাতে সদরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সিফাত তালূকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্ধি করা হলে সে ঘটনার দায়ভার স্বীকার করে। একই ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ইয়াসিন হোসেন ও সাকিব হোসেনকে তাদের গ্রামের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের সহকর্মী আমিনুল ইসলামকে সাথে নিয়ে পাশের গ্রামের সদরচালা গ্রামে অনুষ্ঠিত বৈশাখি মেলায় যান দুই পোশাক নারী শ্রমিক। এসময় ৬-৭জন যুবক তাদের কাছে এসে আমিনুল ইসলামকে ধরে পাশের জামতলা বাজারের একটি ক্লাবে নিয়ে যায়। সেখানে আমিনুল ইসলামকে বেধরক মারধর করে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই যুবকরা মোবাইল ফোনে দুই নারী পোশাক কর্মীকে ঢেকে ক্লাবে নিয়ে আসতে বলে। এসময় আমিনুল ইসলাম প্রাণের ভয়ে ফোন করে ক্লাবে ঢেকে আনে। যুবকরা আমিনুল ইসলামকে ক্লাবের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে দুই নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায়। দুই নারী পোশাক কর্মীকে নিয়ে উপজেলার আড়াবাড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে সাকিব হোসেন, সিফাত তালুকদার ও ইয়াসিক হোসেন একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ভোর চারটার দিকে ওই নারী শ্রমিককে নিয়ে পুলিশের সোর্স সাজ্জাদ হোসেনের মাধ্যমে তাদের বাড়ীতে পৌছে দেয়। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.