লালমনিরহাট

পাটগ্রামে সাবেক অধ্যক্ষকে হত্যা; জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাবেক অধ্যক্ষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা শিক্ষক সমিতি, ছাত্রলীগ এবং পাটগ্রাম অটো মিল ও চাতাল মালিক সমিতি।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিনব্যাপী বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে পাটগ্রাম পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এসব কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুপুরে পৌরসভার টিএন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা শিক্ষক সমিতির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে সমিতির সভাপতি আব্দুল ওহাব প্রধান সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান সোহেল, সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবন্দ, স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও শুশিলরা বক্তব্য রাখেন। হত্যাকান্ডে নিহত পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.ওয়াজেদ আলীর গুণাবলী স্মৃতিচারণ করে সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন শুধু পাটগ্রাম নয় জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন তিনি ।এই হত্যাকান্ডের মূল আসমী ঘটনার ৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি।বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে হত্যা একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে দাবি করে ঘটনায় জড়িত মুল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং ঘটনার পিছনের ঘটনা খুজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় হত্যাকান্ডে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীর ছোট ছেলে রিফাত হাসান তার বাবার স্মৃতিচারণ করে বলেন, বাবা খুন হওয়ার ৫ দিন পার হলো,এখনো রহস্য উন্মোচন হয়নি। পুলিশের এ পর্যন্ত তদন্ত নিয়ে আমি এবং আমার পরিবার সন্তোষ্ঠ নই।এসময় সুষ্ঠু তদন্ত করে মুল হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও ঘটনার রহস্য উন্মোচন করার দাবি জানন তিনি। একই সময়ে পাটগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগ শহরের চৌরাঙ্গী মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল,মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ,অটো মিল ও চাতাল মালিক সমিতি আলোচনা সভা করেছে।

আলোচনা সভা,মানববন্ধন ও শোক র্যালী আয়োজনকারীরা অনুষ্ঠান শেষে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল,পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট,পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।

উল্লেখ্য; গত শুক্রবার(২০জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার নিউ পূর্ব পারার নিজস্ব বাড়ীর সামনে সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলী(৬৯) দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের দারা আহত হন।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত হন তিনি ।এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ছেলে মোঃ রিফাত হাসান (২৯) বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তে নেমে পাটগ্রাম থানা পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করলেও এজাহারভুক্ত মূল আসামিকে ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও গ্রেফতার করতে পারিনি।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ওমর ফারুক বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।দ্রুত মুল আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button