সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড় থেকে আরাফাত হোসেন (২২) নামে এক স্থানীয় ফুটবল খেলোয়াড়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বাঁশ ঝাড়ে একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরাফাত এই গ্রামের মর্তুজ হোসেনের ছেলে।
আরাফাতের পরিবার এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে। আর পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
আরাফাতের বাবা মর্তুজ হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিল। বিভিন্ন ফুটবল খেলায় সে চুক্তিতে খেলত। একই সঙ্গে সে ভাঙরির ব্যবসা করতো। ঘটনার রাতে শাহজাহানপুর বাজারে পালা গানের আসর বসে। রাত ১০টার দিকে গ্রামের মৃত সুরমান আলীর ছেলে বুদ্দু নামের এক নেশাগ্রস্ত যুবক তাকে গানের অনুষ্ঠানে যাবার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আরাফাত রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে স্থানীয়রা আরাফাতকে শাহজাহানপুর গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বাঁশ ঝাড়ে একটি গাছের সঙ্গে ফাঁস নেওয়ার মতো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে জানায়।
মর্তুজ আরো জানান, আরাফাতের গলায় একটি চাদর ছিল। ঘাতকরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই চাদর গলায় পেঁচিয়ে বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। আরাফাতের পা মাটিতে ঠেকানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। হত্যার পর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য চাদর দিয়ে ঘাতকরা ফাঁসির আদলে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। আরাফাতকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার পা মাটিতে ছিল। তবে এটি হত্যাকাণ্ড কি না ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। এ ঘটনায় পুলিশ নেশাগ্রস্ত বুদ্দুকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।