নওগাঁর ধামইরহাটের পিতা পুত্রসহ ৪ জন চিকিৎসা নিতে গিয়ে বাড়ি ফিরল লাশ হয়ে। ঘাতক ট্রাকের ধাক্কায় ওই চার জনের ব্যবহৃত প্রায়ভেট কারটি দুমড়ে মুচড়ে ঘটনা স্থলেই প্রাণ দিতে হোল তাঁদের। এই মর্মান্ত মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের কালো ছাঁয়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় আরো একজনকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই শনিবার বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার দরগারহাট নামক স্থানে সড়কে এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা হলেন-ধামইরহাট উপজেলার জগদ্দল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য তনছের আলী মাষ্টার (৭৭) ও তাঁর ছেলে ফজলে রাব্বি (টগর) (৩৫), অন্যরা দক্ষিন চকযদু গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী মো: মফিজ উদ্দিনের বড় ছেলে আব্দুর রহমান (বিজয়) (২৭) জেলার পত্নীতলা উপজেলার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে প্রায়ভেট কার চালক সুমন হোসেন (২৭)। এদূর্টঘনায় উপজেলার জগৎনগর গ্রামের মো: সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ শাকিল হোসেন (২৮) গুরুত্বর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও ভাল না।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, শনিবার পত্নীতলা উপজেলা থেকে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে সকাল ৮ টার দিকে তনছের আলী মাষ্টারকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল ছেলেসহ ছেলে বন্ধুরা। বগুড়ার কাহালু রেডিও সেন্টারের পাশে দরগারহাট নামক স্হানে পৌচ্ছিলে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি আম বোঝাই মিনি ট্রাকের সংগে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এতে প্রাইভেট কার দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে যায় এবং চালকসহ কারে অবস্থানকারী ৪ জন স্পষ্টেই মারা যায়। পরে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাবা ছেলেসহ আরো দুজনের লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান। এ ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যে নিহতদের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরিবারগুলোতে আহাজারি শুরু হয় এবং পুরো এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। পরে ওই দিনই নিহতদের স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে পৃথক পৃথক জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.