বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জহুরুল ইসলাম (৪৭) নামে একজন খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জহুরুল। তিনি চককানপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও তিন-চার জনকে আসামি করে শাজাহানপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেন নিহতের ভাই বাকিরুল।
এরপর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- হারুন, সেলিম এবং সাদিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে চককানপাড়া এলাকায় রাস্তায় প্রাইভেটকার রেখে ফাঁকা স্থানে বসে মদপান করছিলেন রাব্বীসহ আরও কয়েকজন যুবক। এক পর্যায়ে তারা প্রাইভেটকারের কাছে এসে দেখেন পার্কিং লাইট ভাঙা।
এসময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় নিজ বাড়ির সামনেই আড্ডা দিচ্ছিলেন বাপ্পিসহ আরও কয়েকজন যুবক। তাদের দেখে রাব্বী সন্দেহ করেন ওই যুবকরাই গাড়ির পার্কিং লাইট ভেঙে ফেলেছেন। সন্দেহ থেকে বাপ্পিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন রাব্বীসহ অন্যরা। এতে বাপ্পি ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
পরে বাপ্পির চাচা জহুরুল চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় তিনি ঘটনাটি মীমাংসা করার চেষ্টা করছিলেন। এরই এক পর্যায়ে রাব্বীসহ অন্যরা জহুরুলকে মারধর করেন।
পরে জহুরুলকে ছুরিকাঘাত করেন রাব্বী। বাকবিতণ্ডার সময় ঘটনাস্থলে রাব্বীর বাবা হারুনও উপস্থিত হন।
বগুড়ার কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাজু কামাল বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।