জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে এক আ’লীগ নেত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
রবিবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় পৌরসভার ইস্পাহানী আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর ও তার সহযোগীদের অভিযুক্ত করেছেন ভুক্তভোগী আ’লীগ নেত্রী শাকিলা ইয়াসমিন শিখা। তিনি ৭নং কামরাবাদ ইউনিয়ন মহিলা আ’লীগের সভাপতি।
আরো পড়ুন: পয়লা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিল ঢাবি
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘তার স্বামী প্রবাসে থাকায় দুই সন্তান নিয়ে তিনি স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি আমার স্বামী বিদেশে থাকায় এলাকার ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন ও শামীম হোসেন মুন্না কুপ্রস্তাব দেয়। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা দলবল নিয়ে আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে আমাকে মারধর করে। এ ছাড়াও আমার নাবালক দুই ছেলেকে মারধর করে। হুমকি দিয়ে বলে তোর মা আ’লীগের রাজনীতি করলে তোরা গ্রামে থাকতে পারবি না।’
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে লুটপাট করে। তারা আমার গহনা আর টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তারা জোরপূর্বক আমাকে আমার বাড়ি ছাড়া করেছে। আমার গ্রাম ছাড়া করেছে।
তিনি আরও বলেন, মারধর করার পর তারা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেয়নি। আমার পক্ষে কাউকে সাক্ষী দিতে দেয়নি। ওরা বলে আমার পক্ষে যে সাক্ষী দিবে তাকে ওরা গ্রাম থেকে বিতাড়িত করবে। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রসাশনের কাছে বিচার চাই। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। সে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।
এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.