জামালপুর

মরা প্রাণীর দুর্গন্ধ দিয়ে প্রতিবেশীকে হেনস্থা করেন খলিল

জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে বন্যপ্রাণী (ওয়াব) মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এ ঘটনায় ঐ প্রাণীর মরদেহের পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী এক নারী। 

গত শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আরো পড়ুন: সরিষাবাড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা, বলারদিয়ার এলাকার মৃত কবীর হোসেন এর ছেলে নুরুল ইসলাম ও তার ভাই মোজাম্মেল হক পরিবার পরিজন নিয়ে নিজ বাড়ির নিজ সম্পত্তিতে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বাড়ির প্রতিবেশী খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নুরুল ইসলামের বাড়ির মধ্য দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা চায়। আর ওই রাস্তাটি না দেওয়ার কারণে খলিলুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পশুর মারা দেহ নুরুল ইসলামের ঘরের পাশে টাঙিয়ে পঁচা দুর্গন্ধ দিয়ে হেনস্থা করে আসছে। 

এই নিয়ে ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম গ্রামবাসীকে জানালে গ্রামবাসী খলিলুর রহমানের কোন বিচার করতে পারবেন না বলে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে নুরুল ইসলাম সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং ওই পঁচা মরদেহটি উদ্ধার করে মাটিতে পুঁতে রাখেন। পরে পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে অভিযুক্ত খলিল এলাকা ছেড়ে গাঁ ডাকা দেন।

শার্শায় জুয়ার আসর থেকে নগদ টাকাসহ ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার

স্থানীয় পৌর ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বিপুল বলেন, খলিলুর রহমান একজন খারাপ ও দুষ্ট প্রকৃতির লোক। সে কারো কোন কথা মান্য করে না। ইতিপূর্বেও সে এমন কাজ করেছেন। তার এসব কুকর্ম খুবই নিন্দনীয় এবং অপরাধজনক। তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা উচিত। 

এ-ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর শাজাহান আলী সাধু বলেন, ’বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে ঘটনাটি শুনে মনে হল খুবই অমানবিক ও নেককারজনক একটি ঘটনা। যিনি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এঘটনায় অভিযুক্ত খলিলের ছেলে রাজ বাবু জানান, তার পিতা অন্য একটি বিবাহ করায় তার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। তার এমন ধরনের কাজের বিষয়ে আমরা কোন দায়বার নিতে রাজি নই।

এ-বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী থানার উপ পরিদর্শক মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং পরিবেশ যাতে আর বিনষ্ট না হয়, সেজন্য পশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্ত খলিলুর রহমানকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের মধ্য দিয়ে সাবধান করা হয়েছে যাতে এ ধরনের অপকর্ম আর সে না করে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker