জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে চাচা ও চাচীকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ভাতিজাদের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি কলেজ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহতরা হলো, হাফিজুর রহমান লাভলু (৪২) এবং তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার (৪০)। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান লাভলু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, হাফিজুর রহমান লাভলু শেখের সাথে চাচাত ভাই আব্দুল গণির (৫০) সাথে বসতবাড়ির সীমানার জমি দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিলো। সেই জেরে সোমবার দুপুরে আব্দুল গণির ছেলেরা সীমানার জায়গা নিয়ে লাভলু শেখের উদ্দেশ্যে গালি-গালাজ করতে থাকে। এসময় হাফিজুর রহমান এবং তার স্ত্রী প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে আব্দুল গণির ছেলে জুলহাস (১৮), আলহাজ (২৯), আপেল (২৩), রসুল মিয়া (৫৫), তহুরা বেগম (২৫), রত্না বেগমসহ ৮/১০জন লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করেন। পরে হাফিজুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে বেধড়ক ভাবে মেরে রক্তাক্ত করে প্রতিবেশী ভাতিজারা। পরে গুরুত্ব আহত অবস্থায় তাদেরকে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাফিজুর রহমান লাভলু শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘বাড়ি করার পর থেকেই তারা গালি-গালাজ করে। চলাচলের জায়গা আমার, কিন্তু তারা সেটা জোর করে দখল করতে চায়। বাঁধা দিলে মারধর করে আমাদের হত্যা করার চেষ্টা করে। এছাড়া ঘর থেকে নগদ টাকা ও গহনা নিয়ে গেছে তারা। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বিবাদীরা জানান, তাদের উপর আমরা কোন হামলা করিনি বরং তারাই আমাদের ২ জনকে মেরে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মহব্বত কবির মিশন ৯০’কে জানান, মারামারি ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।