বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশুটিকে তার মা রোকসানা আক্তার ও বাবা আব্দুল কাদের জিলানীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
শিশু নিশিকে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান, জামালপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাজু আহমেদ, শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মাকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নিশি নামের ২৭ দিন বয়সী একটি শিশুকে শ্বাসকষ্ট ও ওজন কম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন শিশুটির মা ও নানী। দুইদিন চিকিৎসার পর ১ মার্চ শিশুকে হাসপাতালের বারান্দায় এক নারীর কাছে রেখে চলে যান তারা। পরে শিশুটির মা-বাবা ও নানী ফিরে না এলে ওই নারী হাসপাতালের নার্সদের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছে শিশুটিকে দিয়ে দেন।
হাসপাতালে রেখে যাওয়ায় ঘটনা জানাজানি হলে ৩ মার্চ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর শিশুটির মা-বাবা শিশুটিকে নিতে হাসপাতালে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটি তাদের কিনা প্রমাণ চায়।
শিশুটির মা রোকসানা আক্তার বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে আমার মেয়েকে রেখে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলাম। এরপর এই ঘটনা ঘটে। আজ মেয়েকে কোলে ফিরে পেয়েছি, আমি খুব খুশি।
আরও পড়ুন: ভিক্ষুকের কাছে রেখে শিশুকে নিতে ভুলে গেলেন মা!
শিশুটির বাবা আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আমাদের বাড়ি হচ্ছে সরিষাবাড়ীতে। আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় আমার শাশুড়ির বাবার বাড়ির ঠিকানা। এতে আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। বিগত সাত আট দিন দৌড়াদৌড়ি করলাম, আজ মেয়েকে কোলে পেয়ে খুশি আমরা।
জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুটিকে মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুটি তাদের কিনা এটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এলাকার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে ও তদন্ত করে আজ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা ৫ মিনিটে জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৭নং ওয়ার্ডে অসুস্থ কন্যা শিশুকে ভর্তি করেন এক দম্পতি। হাসপাতালে ভর্তির সময় তাদের পরিচয় উল্লেখ করেন- শিশুটির নাম নিশি, মাদারগঞ্জ উপজেলার পাটাদহ ইউনিয়নের কয়রা এলাকার রকিব ও রোকসানা দম্পতির সন্তান।