জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৮ দিন বয়সী এক অসুস্থ কন্যা শিশুকে চিকিৎসা করাতে এসে তাকে রেখেই চলে গেছে বাবা-মা। বুধবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে পাচঁটার দিকে হাসপাতালের ৪র্থ তলার বারান্দায় অসুস্থ শিশুটি রেখে চলে যান দম্পতি।
এই ঘটনার দুই দিন পার হলেও খোঁজ নেই শিশুটির মা-বাবা। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দিবাগত রাতে জানাজানি হয়।
এর আগে গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা ৫ মিনিটে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ৭নং ওয়ার্ডে অসুস্থ কন্যা শিশুকে ভর্তি করেন এক দম্পতি। হাসপাতালে ভর্তির সময় তাদের পরিচয় উল্লেখ করেন- শিশুটির নাম নিশি, মাদারগঞ্জ উপজেলার পাটাদহ ইউনিয়নের কয়রা এলাকার রকিব ও রোকসানা দম্পতির সন্তান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশুটি ওজনে কম এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়। একদিন চিকিৎসার পর শিশুটির মা হাসপাতালের চতুর্থ তলার বারান্দায় এক নারীর কাছে ওই শিশুকে রেখে হাসপাতালের নিচতলায় যাওয়ার কথা বলে যান। পরে ওই নারী হাসপাতালের নার্সদের এ ঘটনা জানালে তারা ওই শিশুকে আবার ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। এই ঘটনার দুই দিন পার হলেও শিশুটির মা-বাবা আর হাসপাতালে খোঁজ নিতে আসেনি।
জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মাফিয়া সুলতানা বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে নিয়ে এসেছিলেন এক দম্পতি। একদিন চিকিৎসার পর এক নারীর কাছে রেখে চলে যান শিশুটির মা-বাবা। শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক জান্নাত আরা মিলি বলেন, শিশুটির ওজন কম। শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়। আরো জানান, এমন ঘটনা জেলায় বিরল। এর আগে কখনো এমনটি হতে দেখিনি। তবে বাচ্চাটি সুস্থ রয়েছে। হাসপাতালে থাকা এক মায়ের দুধ পান করেছেন শিশুটি। তবে শিশুটির কান্না থামছে না।
জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, বাচ্চাটির শুরুতে শ্বাসকষ্টসহ কিছু সমস্যা ছিল। বর্তমানে সে সুস্থ আছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা শিশুটির সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বাচ্চাটির ঠিকানা খোঁজা হচ্ছে। না পাওয়া গেলে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’