প্রায় এক মাস নিখোঁজ ছিলেন খুলনার দৌলতপুর মহেশ্বরপাশার বাসিন্দা রহিমা বেগম। আর এক দিন আগেই তার লাশ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তারই মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
এমন সব ঘটনার মধ্যেই শনিবার রাতে নাটকীয়ভাবে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার করা হয় রহিমা বেগমকে। দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে নেয়া হয় খুলনার দৌলতপুর থানায়।
মাকে ফিরে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মরিয়ম মান্নান। নিজের ফেসবুক পেজে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মাকে উদ্ধার করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদও জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, এই মাত্র দূর থেকে আমি আমার মাকে খুলনা ভিকটিম সেন্টারে দেখলাম। আমি আমার মাকে খুঁজেছি, পেয়েছি। আমার কলিজা শান্ত হয়েছে।
আজকে উনত্রিশ দিন পরে আমি জানলাম আমার মা ভিকটিম সেন্টারে আছেন। আমি নিজের চোখে মা’কে দেখেছি। এটাই আমার শান্তি। এর থেকে শান্তি আমার আর কিছুই নেই।
মরিয়ম আরো জানান, আমি চাই আমার মায়ের সাথে কথা বলতে,আমি চাই আমার মাকে জড়িয়ে ধরতে। আজকে আমি ২৯দিন পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবো।
গত ২৭ আগস্ট রাত ১১টার দিকে খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার খানাবাড়ী হতে নিখোঁজ হন ছয় সন্তানের জননী রহিমা বেগম
রহিমা বেগম সেই রাতে তার মৃত প্রথম স্বামীর বাড়িতে দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদারকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। বেলাল হাওলাদার বর্তমানে নিখোঁজের মামলায় গ্রেপ্তার আছেন।