আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষানুরাগী ও দানবীর মরহুম শেখ হায়েত আলী সরকার এর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিত্রা শিকারী,পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ,সখীপুর পিএম পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন , সখীপুর পিএম মডেল গভঃ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কে বি এম খলিলুর রহমান,সহকারী শিক্ষক মোঃএমদাদুল হক মিয়া,ফজলুল হক,প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এনামুল হক প্রমুখ
একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ হিসেবে শেখ হায়েত আলী সরকার ১৯৪৯ সালে সখীপুর পিএম পাইলট মডেল গভ. স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া তিনি সখীপুরের প্রথম উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমিদান করেন। এতে করে সখীপুরের মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়া চালু হয়। তাছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দান, সহায়তা ও নেতৃত্ব দিয়ে সেসব কাজকে ত্বরাত্নিত করেছেন। তিনি সখীপুর থানা গঠনের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এভাবেই সখীপুরের শিক্ষা, চিকিৎসা ও নানাবিধ কাজে যুক্ত রেখে আজকের আধুনিক সখীপুর গড়তে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছেন।
মরহুম শেখ হায়েত আলী সরকার এর পিতার নাম ছিল মরহুম শেখ নায়েব আলী সরকার। মরহুম শেখ নায়েব আলী সরকার এর একমাত্র ছেলে বিয়ে করেন গড়গোবিন্দপুর গ্রামের প্রয়াত ভোমর আলী সরকারের বড় মেয়েকে। তিনি ছোট বেলা থেকেই ডানপিটে ছিলেন।মরহুম শেখ হায়েত আলী সরকার এর দু’জন ছেলে ও তিন জন মেয়েসহ অসংখ্য নাতি-নাতনি এবং শুভাকাঙ্খী রয়েছে । বড় সন্তান আবদুল বারেক মিয়া এবং ছোট ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ হাবিব। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় তেমন শিক্ষিত না হলেও স্বশিক্ষিত হিসেবে নিজেকে তিনি তৈরি করেছিলেন। যার প্রমাণ হিসেবে তিনি তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে আজও বেঁচে আছেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.