আব্দুস সাত্তার, বিশেষ প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া-পূর্বাসিন্দা সড়কে দেওপাড়া ইউনিয়নের খাকুরিয়ার ব্রিজের নির্মাণ কাজ কাজ ১ বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ৩ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ২০২১ সালে ব্রিজটির নির্মাণ কাজটি শুরু করা হয়। ২০২২ সালের ২০ মার্চ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান মাত্র কিছুুদিন কাজ করার পর অজ্ঞাত কারণে নির্মাণ কাজ ফেলে রেখে উঁধাও হয়ে যায়।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ধলাপাড়া, দেওপাড়া ইউনিয়নের সরাশাক, কালিকাপুর, কোচপাড়া, পাঞ্জারচালা, শিবেরপাড়া, বাদে আমজানী, তালতলা দেওপাড়া, কালিয়ান, গান্দী, চাম্বলতলা, রহমত খার বাইদ, রানাদহ, চৈতার বাইদ, মলাজানী, যুগিয়াটেঙ্গর, কুমারপাড়া, গানজানা, মাকড়াই, মাকড়াই ভবানী, মালেংগা, গন্ডঘোষ, চৌরাশা, কোচক্ষিরা, কাপাসিয়া, বারইপাড়া, ভোজদত্ত, হরিণাচালা, কান্দুলিয়াপাড়া, করিমের পাড়া, কাকুরিয়া, কালুকাছড়া, খামার কাছড়া, দেলুটিয়া, ভাগলের পাড়া, ভাবনদত্ত, ঘোড়ামারা, বানী ভাসাসহ ওই অঞ্চলের ৪১ গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া-পূর্বাসিন্দা সড়কে দেওপাড়া ইউনিয়নের খাকুরিয়ার ব্রিজটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে একাংশ ভেঙে যায়। ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দরপত্র আহ্বান করে। ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসই সাদিয়া অ্যান্ড সামিয়া জয়েণ্টভেঞ্চারে ২১ সালে ২১ সেপ্টেম্বর চার কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকা চুক্তিমূল্যে ২০২২সালে ২০ মার্চ কাজ শেষ করার নিমিত্তে কার্যাদেশ পায়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে স্থানীয় জনৈক সাইফুল ইসলামকে কাজটি করার জন্য সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে। কিন্তু সাব-ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রিজটি ভাঙা শুরু করেন। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাঁদা মাটি দিয়ে পায়ে হাটা রাস্তা তৈরি করে। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী শত শত ভ্যান গাড়ী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মিনি ট্রাক, ট্রাক, প্রাইভেটকার চলাচল করতে বিঘ্ন ঘটছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূূর্ঘটনা, তৈরী হয়েছে মরণ ফাঁদ।
ওই সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক শরীফ, ওহিদুল ইসলাম, আমিনুর, ভ্যান চালক তাওহিদুল, রাজ্জাক, মিনি ট্রাক চালক রশিদ, জহির উদ্দিন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক আসাদুল, সুজন, নওশাদসহ অনেকেই জানান, ব্র্রিজটি ৩ বছর ধরে ফেলে রাখায় চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন তারা।
তারা আরও জানান, প্রতিনিয়ত ঘটছে দূূর্ঘটনা, তৈরী হয়েছে মরণ ফাঁদ। কিছুুদিন আগেও এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যুু হয়েছেি এই সড়কে। তারা তাদের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাকে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্রিজর নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.