টাঙ্গাইল

ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় দুই জনের স্বীকারোক্তি

আব্দুস সাত্তার, বিশেষ প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া হাইস্কুলের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৬টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় মুক্তার হোসেন ও মো: ইমরান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকাররোক্তিমূলক জবাবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা জানায়, জেনে-শুনে তারা চোরাই ল্যাপটপ সস্তায় কিনে নেয়। কেনার আগে রিমান্ডে থাকা মো: রেজাউল করিম, ওমর সানী ও আবু সাইদ তাদের কাছে ১৫-১৬টি ল্যাপটপ আছে এবং কম দামেই বিক্রি করবেন বলে জানায়। পরে অল্প দামে তাদের কাছ থেকে ওরা দুজন দুইটি ল্যাপটপ কিনে নেয়। সোমবার (৬ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলাম চোরাই ল্যাপটপ ক্রেতা মুক্তার হোসেন ও মো: ইমরানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

No photo description available.

আদালতের পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান, টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-উত্তর) ১২টি চোরাই ল্যাপটপসহ প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ৭ ব্যক্তিকে আদালতে উপস্থাপন করে। তাদের মধ্যে দুই জন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলাম তিন জনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি-উত্তর) অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেন জানান, মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলাস্থ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব থেকে ১৬টি ল্যাপটপ এবং ল্যাপটপের আনুসঙ্গিক মালামাল চুরি হয়। এ বিষয়ে মধুপুর থানায় মামলা (নং-১৬, তাং-২৬/১২/২০২২ইং) দায়ের করা হয়। ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যকর হওয়ায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গোয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে রোববার (৫ মার্চ) রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সোমবার (৬ মার্চ) বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো: রেজাউল করিম(২১), ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর নয়াপাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে ওমর সানী (২৫), একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আবু সাইদ(২২), ধনবাড়ী উপজেলা উখারিয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মুক্তার হোসেন (২৪), মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের মমিনপুর কাউচিবাজার এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে মো: ইমরান (১৯), লোকমান হোসেনের ছেলে মো: খায়রুল ইসলাম (১৯) এবং একই ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো: শরীফ ওরফে শুভ (২০)।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button