টাঙ্গাইলে জীনের বাদশা ও তার সহযোগীকে এবং গাড়ি বোঝাই কাঠ ও গুলি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন বনদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত জীনের বাদশা ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার চকঢোষ এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মাতাব্বরের ছেলে কবিরাজ আকবর আলী ওরফে রাশেদ মাতাব্বর (২৭) ও তার সহযোগী একই এলাকার জলিল মাতাব্বরের ছেলে মিরাজ (২৮)।
গ্রেফতারকৃত বনদস্যুরা হলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে শাহাদত আলী (৩৫), ছোরহাব ভূইয়ার ছেলে মালেক (৪২), আব্দুল কদ্দুসের ছেলে মো: সাইদুল ইসলাম (৩০)।
টাঙ্গাইলের র্যাব-১৪ এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, গত বছরের ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কালিহাতী উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে জীনের বাদশা কবিরাজ আকবর আলী বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর জীনের বাদশা আকবর আলী মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ র্যাবের কাছে অভিযোগ দেয়। পরে টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ ও ভোলা র্যাব-৮ প্রতারক চক্রকে গ্রেফতারে যৌথ অভিযানে নামে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযানের পর ভোলার বোরহান উদ্দিন থানা এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত কবিরাজ জীনের বাদশা আকবর আলী ও তার সহযোগী মিরাজকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরোও জানান, তাদের টার্গেট ছিল গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষ। এসব মানুষকে ফাঁদে ফেলে তারা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতদের নামে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীদের কালিহাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, গত ২৫ জানুয়ারি গভীর রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের অরনখোলা এলাকায় গজারী গাছ কেটে তা পাচার করছে বলে গোপন সংবাদ পান বন কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম। এরপর বন রক্ষীদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌছে বাঁধা দিলে ২৫/৩০ জন বনদস্যু তাদের বেদম মারপিট করে।
এ সময় বন কর্মকর্তার কাছে থাকা রাইফেলের চার রাউন্ড গুলি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পাঁচদিন পর র্যাব সদস্যরা টাঙ্গাইল ও গাজিপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তবে ছিনতাই হওয়া গুলি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।