টাঙ্গাইল

কালিহাতীতে জহিরুল হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামিদের নাম অর্ন্তভুক্ত করার দাবি

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার শিহরাইল গ্রামের জহিরুল ইসলাম আকাশকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় তাঁর বড় ভাই নুরুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে নুরুল ইসলাম বাড়ি এসে ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ৭ জনকে শনাক্ত করেন তিনি। ওই ৭ জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে মামলায় অন্তভুক্ত করার জন্য দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, দুই সন্তানের জনক জহিরুল ইসলাম আকাশকে হত্যা, বড় ভাই নুরুল ইসলাম পঙ্গুত্ব বরণ করে বেচে আছে। বৃদ্ধ বাবা সাইফুল ইসলাম পাগল প্রায়। দিনমুজুর পরিবারের উপর্জন করার মতো কেউ না থাকায় অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন পরিবারটি।

নিহত জহিরুলের বাবা বাদি সাইফুল ইসলাম ও তার বড় ভাই পঙ্গুত্ব বরণ কারী নুরুল ইসলাম ও স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের ২৬ মে উপজেলার পাইকরা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে সাউন্ডবক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। পরেদিন,২৭ মে স্থানিয় ইউপি সদস্য ফরমান ও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সেলিম রেজা বিষয়টি সমাধানের কথা বলে জহিরুল ইসলাম আকাশদের ইউপি সদস্য ফরমানের বাড়ির সামনে গোপালপুরে ডেকে নেয়। ইউপি সদস্যের কথানুযায়ী জহিরুল ইসলাম আকাশরা গোপালপুর গ্রামে পৌছানো মাত্রই ফরমান ও সেলিম রেজার লোকজন তাদের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা করেন। এ সময় জহিরুল ইসলাম আকাশ ও তার বড় ভাই নুরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।ওই দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ইসলাম আকাশ মারা যায়। তার ভাই নুরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।

২৮ মে নিহত জহিরুল ইসলাম আকাশের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনের নামে কালিহাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ বিভিন্ন সময়ে এজাহার ভুক্ত ৮ আসামি কে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে একজন জামিনে রয়েছে।

নিহত জহিরুল ইসলামের বড় ভাই এ ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ কারী নুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমার বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। আমি চিকিৎসা শেষে বাড়িতে এসে ঘটনার সাথে জড়িত নুরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, রাজু রাজবংশী, নজিম উদ্দিন, সোহান মিয়া,নাজমুল ইসালম ও রবিনকে শনাক্ত করি। এজাহারভুক্ত আসামীদের সাথে এরাও জহিরুলকে পিটিয়ে হত্যা করে। বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানালেও এ ব্যাপারে গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এদের নাম মামলায় অর্ন্তভুক্ত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) আল-আমিন জানান, অজ্ঞাত আসামি শনাক্তের বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। মামলার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker