টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঘটনার পাঁচ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেশ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল পিবিআই এর পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ এক প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানিয়েছেন।
এসময় তিনি জানান, উপজেলার আজগনা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি কলাবাগানে গত ১৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাত এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। পরে পিবিআই টাঙ্গাইল হত্যা মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী নিহতের স্বামী মো: ওয়াসিমকে সনাক্ত করে। তার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো: ওয়াসিম দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার ডাঙ্গারপাড়া এলাকার ইছাহক এর ছেলে।
পুশিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াসিম জানান, ২০১৯ সালে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে একটি ইট ভাটায় কাজ করার সময় নাজমা বেগমের সাথে তার পরিচয় হয়। সে ভোলা জেলার লালমহন থানার দেবীর চর বেরীবাঁধ হাওলাদার বাড়ী এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে। নাজমা ওই ইট ভাটায় বাবুর্চির কাজ করতো। ইট ভাটায় কাজ করার সময় নাজমার সাথে ওয়াসিমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর কারণে ইট ভাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওয়াসিম নিজ এলাকা দিনাজপুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
একথা শুনে নাজমা ওয়াসিমকে ঢাকা উদ্যানে দেখা করার কথা বলে। পরে নাজমার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নাজমা ও তার লোকজন জোরপূর্বক ওয়াসিমের সাথে নাজমার বিয়ে পড়ায় এবং তিন লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর মির্জাপুর ইট ভাটায় নাজমা বেগম ওয়াসিমের সাথে দেখা করতে আসে। পরে সেখানে দুই জনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে নাজমা তাকে দেনমোহরের তিন লাখ টাকা ও ডিভোর্স চায় তা না হলে মামলা করার ভয় দেখায়।
এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে আরো ঝগড়া হয়। পরে ইট ভাটার পাশে কলাবাগানে ওয়াসিম নাজমার গলায় থাকা উড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার জন্য কলাবাগানের ভিতর মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.