কটিয়াদী

কটিয়াদীতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে ছাতা মেরামতকারীরা

এখন আশ্বিন মাস। শুরু হয়েছে শরৎকাল। কখনো থেমে থেমে,আবার কখনো একটানা মুষলধারে ভারী বর্ষণ। এ সময়ে ছাতা ছাড়া ঘরের বাইরে বেরুনো মুশকিল। আর সে ছাতা’য় যদি ফুটো কিংবা ভাঙা থাকে তবেই বিপত্তি।আর এই বিপত্তির কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে ছুটে যেতে হয় ছাতা মেরামত কারিগরদের কাছে। আর তাই বর্ষায় ভরসা এসব কারিগররা।

বছরের অন্য সময়গুলোতে ছাতা মেরামতের কাজ না থাকলেও বর্ষার এ মৌসুমে পুরোদমের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। রোজ ১২শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকেন একেকজন কারিগর।

তবে বছরের অন্য সময়ে অনেক কারিগরই ছাতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক হারে ছাতা তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন।কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ছাতা মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকা কয়েকজন কারিগরের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

পৌরসদরের জেলা সুপার মার্কেটের নিচে বসে ছাতা মেরামত করছেন মো: রহিম মিয়া নামের একজন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামার গ্রামে। ১০-১৫ বছর ধরে তিনি এ কাজের সাথে জড়িত।

মো: রহিম মিয়া জানান, এখন ছাতা মেরামতের ভরা মৌসুম। কিন্তু কি রোগ আইলো, মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বের হয় না। কাজ-কাম কম হচ্ছে। এ মৌসুমে তেমন একটা কাজ পাবেন না বলে চিন্তায় আছেন তিনি। বর্ষা মৌসুমে প্রচুর কাজ থাকতো। এখন করোনার কারনে ৫শ থেকে ৬ কাজ করা কঠিন।

অন্য মৌসুমে কৃষিকাজ কিংবা ছাতা কোম্পানিতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে জীবিকা চলে।

একই জায়গায় বসা মসুয়া গ্রামের আরেক কারিগর আক্কাস উদ্দিন জানান, তিনিও দুই যুগ ধরে এ কাজ করে আসছেন। আজ এ বাজার, কাল ও বাজারে ছাতা মেরামত করে সংসার চলে তার।কিন্তু এসময়ে বেশি কাজ-কামের সময় থাকলেও করোনার কারণে ব্যবসা তেমন ভালো যাচ্ছে না। কিন্তু কালের বিবর্তনে পেশা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। তারা বয়োবৃদ্ধ হয়েছেন, অন্য কাজ করা তাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে এ পেশাতেই পড়ে রয়েছেন তারা।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker