মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সবজির ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে, ফলনও হয়েছে বাম্পার। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারগুলোতেও সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষক-কৃষাণীরা বেজায় খুশি। এ বছর অনেক কৃষক শুধুমাত্র লাউ বিক্রি করেছেন লাখ টাকার ওপরে। আবার অনেকেই হয়েছেন সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী। ফলে কৃষকেরা অন্য ফসল আবাদ কমিয়ে সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার হেক্টর। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরো অধিক জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গ্রামের আবাদি, অনাবাদি কিংবা উচু-নিচু জমিতে শসা, বেগুন, কাঁচা মরিচ, কুমড়া, বরবটি, চিচিঙ্গা, করলা, মুলা, ঢেঁড়স, ফুলকপি, বাঁধা কপি, টমেটো, পটল, পান, আলু, ঝিঙ্গা, লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, ধনিয়া পাতাসহ বিভিন্ন জাতের শাক সবজির ব্যাপক আবাদ করেছেন প্রান্তিক চাষিরা।
বর্তমানে বাজারে শাক সবজির দাম বেশি ও ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে বেশিরভাগ জমিতে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।
এ সময় উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের সবজি চাষী হেলাল উদ্দিন, রহিমপুর গ্রামের সবজি চাষী মফিজ উদ্দিন, আশুতিয়া গ্রামের আফিল উদ্দিন সহ অনেকেই জানান, বাজারে সবজির দাম ভালো থাকায় এ বছর সবজির চাষ করেছি ব্যাপক। কারণ সবজি চাষে খরচ তুলনামূকভাবে অনেক কম থাকায় তারা সবজি বিক্রি করে অধিক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন। সাহেবের চর গ্রামের লাউ চাষী সুনু মুন্সি হেঁসে হেঁসে বললেন, “যেইরুম চাইচিলাম হেইরুমই ফলন অইচে, প্রতিদিন দুইবার তুইলা বেচি”
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একে এম সাজাহান কবির জানান, এ বছর অনুকুল আবাহাওয়ায় উপজেলার বেশিরভাগ জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে কৃষকরাও খুশি। অনেকেই সবজি চাষ করে স্ববালম্বী হওয়ার পাশাপাশি লাখোপতি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।