কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সিদলা ইউনিয়নের কোনা মেছেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পাঠ নিচ্ছে ১০০ জনের অধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। অজপাড়া গায়ে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। একশ’র উপরে শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ১৯৯৪ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে চার রুম বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ হয়। বিগত ২০০০ সালে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় তালগাছ ও কড়ই গাছ বিদ্যালয়ের ছাদের উপর সমূলে উৎপন্ন হয়ে পড়লে, বিদ্যালয়ের অনেকাংশে ভেঙ্গে যায় এবং চারটি রুমে অনেকাংশে প্লাস্টারে ফাটল দেখা দেয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় আবেদন দিলেও এতদিনেও এ বিদ্যালয়টি সংস্কার করা হয়নি।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ও তাইয়্যেবা জানায়, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝে মাঝে প্লাস্টারের গুঁড়া তাদের গায়ে, মাথায় পড়ে। তারা সব সময় ভয়ে ভয়ে ক্লাস করে।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমিনুল ইসলাম জানায়, বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে পড়ায় তার মেয়েকে বিদ্যালয় পাঠাতে ভয় হয়। কখন কোন অঘটন ঘটে যায়।
সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করাতে গিয়ে আমাদেরকে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। এছাড়া শিক্ষকদের বসার রুমটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে বসি।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, “ভবন ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদেরকে ঠিকমতো বিদ্যালয়ে পাঠায় না । ফলে শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, “শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছি।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল জানান, তিনি উপজেলায় নতুন যোগদান করেছেন। সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।