কিশোরগঞ্জ

সহজ মানুষ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী: কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন

পৃথিবীতে কিছু মানুষের গুণের প্রকাশ কলমের কালিতে শেষ হয়না, দিনের পর দিন কেটে যাবে তবুও আবেগের সমাপ্তি হবে না। আমরা এই কলমে এমন এক মানুষকে তুলে ধরতে চাই যার হৃদয়, চেহারা, কাজ, ব্যক্তিত্ব অতুলনীয়। হৃদয়টা হচ্ছে শিশুতুল্য সহজ সরল, স্নেহ ভালোবাসায় পূর্ণ। স্বার্থহীন অতি পরিশ্রমী। কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের পরম আত্মার ধন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন। 

Image

কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন একজন সাদা মনের মানুষ, সৎ আদর্শ কর্তব্যপরায়ণ নিরহংকারি অসাধারণ ব্যাক্তিত্বের অধিকারী, দায়িত্বশীলতা ন্যায়পরায়ণতা, পরোপকারী অসীম ধৈর্যশীল, বিনয়ী। যে কোন শ্রেণীর মানুষের সাথে সৌহার্দ্য পূর্ণ আচরণ এবং অসহায় মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা সত্যিই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে মুগ্ধ করেছে।

একজন দায়িত্বশীল মানবিক নেতা হিসেবে ইতি মধ্যে স্থান করে নিয়েছে কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষের মনে। প্রতিদিন কোনো না কোনো মানবিক কাজ করে যাচ্ছে তার মন-মগজ, চিন্তা চেতনা আর মানবতা নিয়েই, ইতিমধ্যে ( কিশোরগঞ্জ সদর -হোসেনপুর) এর মানুষের অত্যন্ত আপনজন হয়ে উঠেছেন। 

আরো পড়ুন: হোসেনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের কাছে একটি  স্বজনে বেষ্টিত নাম। বেশ সাদামাটা রাজনীতিবিদ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন। কিশোরগঞ্জের রত্ন বলেও আখ্যায়িত করেন হাজারও মানুষে। কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছে যিনি শ্রদ্ধা ও সম্মানের ব্যক্তিত্ব। সরল ও উদার মনের মানুষ কৃষিবিদ হুমায়ুন। প্রতিনিয়ত তিনি এলাকায় প্রবেশ করার সাথে সাথে হাজার মানুষের ঢল থেকে জনসমূদ্রে সৃষ্টি হয়, তাকে বরণ করে নেয়ার জন্য। হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সদরে সামাজিক, রাজনৈতিক কিম্বা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন সর্বদা বিশেষ কিছু, তাকে ছাড়া মানুষের হৃদয়ের তৃপ্তিময় অবস্থা যেন বিলীন।

Image

সরেজমিনে অসংখ্য মানুষের সাথে কথা হলে জানা যায়, গৃহহীন মানুষকে নিজ উদ্যোগে পূনর্বাসন, অনাহারীর মুখে খাবার তুলে দেওয়া, বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করা, অসুস্থ রোগিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি পরহিতার্থে কাজ কৃষিবিদ হুমায়ুন এর নিত্যদিনের কর্ম। বিশেষ করে হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মনে তিনি যেন বসত ঘর স্থাপন করে বসে থাকেন অহর্নিশ। কৃষিবিদ হুমায়ুন এখন একটা পরম যত্নে ভরা নাম। নেতা কর্মীদের মাঝেও রয়েছে তার একনিষ্ঠ সুমহান গ্রহণ যোগ্যতা। কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন শুধু একটি নাম নয় কিশোরগঞ্জের মানুষের প্রাণের স্পন্দন। 

আরো পড়ুন: মাদারীপুরে ১৯ প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশের মামলা

বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পূর্বে তিনি ছাত্রলীগের বিভিন্ন দায়িত্বসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অভাবী ও অসহায় মানুষের শেষ ভরসা ও আশ্রয়স্থল কৃষিবিদ হুমায়ুন। সততা ও স্বচ্ছতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী  কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন। 

Image

জানা যায়, পারিবারিকভাবেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বাবা ১৯৫২ সালে হোসেনপুর থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ করাটা অনেক কঠিন ছিল। তার বাবাই জেলার হোসেনপুর  থানায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি চর্চা শুরু করেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর শিষ্য ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তার বাবাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি শুরু। তার বাবা এলাকার চেয়ারম্যান ছিলেন।

আরো পড়ুন: নাকের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে কলেজ ছাত্র ইশতিয়াক

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তখন তিনি ক্লাস থ্রিতে পড়েন, সকালে দেখতে পান তার বাবা হুজুরের সঙ্গে চিৎকার করছেন। কারণ হুজুর এসে বলেছিল বঙ্গবন্ধুকে নাকি হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে রেডিওতে বিষয়টি জানতে পারার পর বাবার কান্না দেখার মুহুর্তটা তিনি কষ্ট ভরে স্মরণ করেন। 

Imageমশিউর রহমান হুমায়ুন তখন ক্লাসের ফাস্ট বয় ছিলেন। স্কুল জীবনে রাজনীতির সঙ্গে তেমন জড়িত না থাকলেও পরবর্তীতে ইন্টারমিডিয়েটে গুরু দয়াল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এরপর ১৯৮৬ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর পুরোপুরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে প্রথমে ছাত্রলীগের সদস্য, সহ-সম্পাদক, পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এরপর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের স্কুল বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। 

মশিউর রহমান হুমায়ুন ছাত্রলীগের রাজনীতি করার পর ২০০১ সালে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন। সেই থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থেকে রাজনীতির অনেক কিছুই শিখেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটিতে দুইবার সহ-সম্পাদকদের দায়িত্ব পালন করেছেন। 

আরও জানা যায়, মশিউর রহমান হুমায়ুন ১৯৯৯ সাল থেকে জন-রাজনীতি অর্থাৎ এলাকার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন ভাবে জনসেবায় সর্বোচ্চ মনোনিবেশ করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত  এলাকার কোন অনুষ্ঠান বাদ দেয়না। এলাকার মানুষদেরকে সহযোগিতা করেন অত্যন্ত আপনজন হয়ে। এলাকায় আসলে তাকে ভালোবেসে জনসমুদ্র লেগেই থাকে রাতদিন। মানুষের সাথে সহজে মিশে যাওয়া কোমলন্তর স্বভাবের কারণেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। বলা যায় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ভরা সকলের ঠোটস্থ নাম মসিউর রহমান হুমায়ুন। 

২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী চাইলে আপনি এমপি হতে প্রস্তুত কিনা?

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকেই আমি মানুষের সেবা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, আমি অবশ্যই মানুষের সেবা করার জন্য প্রস্তুত। এলাকার মানুষ আমার কাছে এসে একটা আস্থা পায়। আমি মন থেকে মানুষের জন্য করার চেষ্টা করি। 

আরো পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিজেদের প্রযুক্তি নিজেদের তৈরি করতে হবে

তিনি আরও বলেন, আমার এলাকার মানুষগুলোকে নিয়ে আমার একটা স্বপ্ন আছে। সেটি হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য কিশোরগঞ্জ গড়ে তোলা। আমরা চাইলে আমাদের শহরটাকে স্বপ্নের শহর বানাতে পারি। পুরো কিশোরগঞ্জ নিয়ে আমার ভাবনা রয়েছে। আমি এমপি হলে পুরো কিশোরগঞ্জের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো।

Image

প্রধানমন্ত্রী কেমন?

জবাবে তিনি বলেন, আমাদের মা খালা ফুফুরা যেমন ঠিক আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তেমন। আমার এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় উনার আচার, আচরণ, ব্যবহার সবই আমাদের মা খালাদের মত। উনি যে প্রধানমন্ত্রী, উনি যে রাষ্ট্রপতির মেয়ে ছিলেন, উনি যে জাতির পিতার কন্যা এমন মনোভাব কখনোই উনার মাঝে দেখিনি। এই শিক্ষাটা উনি পরিবার থেকে পেয়েছেন। ছোট মানুষেদের উনি অনেক সন্মান করেন। উনি মানবতার মা এমনি এমনি হননি, ওনার ব্যবহারের জন্য হয়েছেন। উনি সারাদেশের মানুষদের মায়ের মতো আগলে রেখেছেন। করোনার সময় উনি গোপনে যারা সহযোগিতা চাইতে লজ্জা পায়, ব্যক্তিগতভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। জাতি হিসেবে আমাদের সৌভাগ্য আমরা শেখ হাসিনার মত একজন মানুষকে পেয়েছি। 

সহজ মানুষ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী: কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন

কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন আরও বলেন, আমার একটাই শক্তি সেটি হলো সততা। আজকের এই জায়গায় আসতে আমি অনেক কিছুই অনুভব করেছি ও দেখেছি। তবে আমি এখানে থেকে এমন কোন কাজ করিনি যার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসম্মান হবে। আমি কোন অন্যায় ও জুলুমের সঙ্গে আপোষ করিনি। মানুষের জন্য যতটুকু করি নিঃস্বার্থভাবে করি এটাই আমার মূল শক্তি। তবে হ্যা অনেক বাঁধা জীবনে এসেছে। যতবার এসেছে ততবারই সততার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছি।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker