গাজীপুরের কোনাবাড়ি দেওলিয়াবাড়ী এলাকায় বুধবার দুপুরে ধারালো বটি দা দিয়ে বৃদ্ধ মায়ের মস্তক বিচ্ছিন্ন করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। পরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ঘাতক শাখোয়াত হোসেন মাসুদ (২৮) কে গ্রেফতার করেছে কোনাবাড়ী মেট্রো থানা পুলিশ।
নিহত বৃদ্ধা হলেন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘোষের কান্দি গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী জোছনা বেগম (৬৫)।
পুলিশ, প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, নিহত জোছনা বেগম গত ৬ মার্চ মানসিক ভারসাম্যহীন ঘাতক ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতিয় মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে মানসিক চিকিৎসক ঘাতক শাখোয়াত হোসেন মাসুদের শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান কম থাকায় ব্যবস্থাপত্র লিখে তাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়। পরে তারা তাদের গ্রামের বাড়ি কাপাসিয়ার ঘোষের কান্দিতে না গিয়ে কোনাবাড়ী দেওলিয়াবাড়ী এলাকায় মৃতের বড় মেয়ে খাদিজা আক্তারের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন।
বুধবার ৮ই মার্চ দুপুরে ঘাতক শাখোয়াত হোসেন মাসুদ রান্না ঘর থেকে তরু তরকারি কাটার ধারালো বটি নিয়ে বৃদ্ধা মা জোছনা বেগমের শোবার ঘরে ডুকে রুমের দরজা বন্ধ করে জবাই করে শরীর থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ সময় বৃদ্ধা জোছনার আর্ত চিৎকার ও ঘোঙ্গানির শব্দ পেয়ে আশে পাশের রুমের বাড়াটিয়ারা ছুটে এসে পাশের রুমের সিলিং সরিয়ে বৃদ্ধা জোছনার মস্তক বিচ্ছিন্ন রক্তাক্ত দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে কোনাবাড়ী মেট্রো থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মানসিক ভারসাম্যহীন ঘাতক ছেলে শাখোয়াত হোসেন মাসুদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গাজীপুরের সিআইডি টিম ঘটনা স্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। নিহতের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
কোনাবাড়ী মেট্রো থানার এসআই ফোরকান মোল্লা জানান, ঘাতক ভারসাম্যহীন ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।