গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার সফিপুর রতনপুর রোডে নীট এশিয়া গ্রুপের ইউনিট ২ এর শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে আন্দোলন করছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত শনিবারে সিমা বেগম নামের গর্ভবতী নারী শ্রমিক (৭ মাসের অন্তসত্বা) কারখানার জিএম শহিদুল ইসলামের কাছে ছুটি চাইতে গেলে ঐ নারী শ্রমিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করতে গেলে এক র্পযায়ে নারী শ্রমিকের গায়ে হাত তুলে শহীদুল ইসলাম। পরে ঐ নারী শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পরলে তার গর্ভে থাকা সাত মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। পরে তাৎক্ষনিক ভাবে ঐদিন থেকে আন্দোলন জরিয়ে পরে। এছাড়া মতিউর রহমান নামের এক সুইং অপারেটরকে ২৯ জানুয়ারি ফ্লোরে জনসমূখে মারধোর করে হিমেল আহম্মেদ নামের প্রোডাকশন ম্যানেজার। এতে করে কারখানার শ্রমিকরা সারাদিন ভিতরে থেকেই কর্মবিরতী পালন করে বিক্ষোভ করে। পরে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার মুলফটকে অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে আন্দোলনে জড়িয়ে পরে।
অপরদিকে নিট এশিয়া ফ্যাক্টরির বর্ণিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফ্যাক্টরির মালিকপক্ষ ফ্যাক্টরি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। কড়া পাহাড়ায় ফ্যাক্টরির গেট বন্ধ রাখে। কারখানায় প্রবেশ করতে না পেরে শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির জিএম, পিএম এর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করে ও এসময় ফ্যাক্টরির সামনে স্লোগান দিতে দিতে তারা বিক্ষিপ্তভাবে রতনপুর বাজার, সফিপুর বাজার সহ রাখালিয়াচালা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে সফিপুরে অবস্থিত মালেক ফ্যাক্টরি, সালেক ফ্যাক্টরি ও নিট এসিয়া ইউনিট -২ এর শ্রমিকেরাসহ নিট এশিয়া ইউনিট-১ এর শ্রমিকরাও এসে ৯ শতাধিক শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেয়। এদিকে ফ্যাক্টরি শ্রমিকেরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ চাপের মুখে পরে সিমীত পরিসরের শ্রমিকদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়। পরে ফ্যাক্টরির ভিতর প্রবেশ করে ফ্যাক্টরির সামনে মাঠে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান নেয়।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে জেলা পুলিশ ও শিল্প পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও কাজ করছে।
কারখানার সুমন মিয়া নামের এক শ্রমিক জানান, প্রতিনিয়ত কারখানার স্টাফেরা শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে, গায়ে হাত তুলে। র্দীঘদিন ধরে তারা আমাদের উপর এই অত্যাচার করে আসছে।
লাভলী নামের আরেক নারী শ্রমিক বলেন, অসুস্থ হলে ছুটি দিতে চায়না, তিনজনের কাজ ১ জনের করতে হয়। না পারলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ ঘটনায় কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার মনির আহম্মেদ জানান, ঘটনা গুলো সত্যি নয় তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে এ নিয়ে শ্রমিকদের সাথে প্রসাশনদের নিয়ে মিটিং চলছে। দুপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করা হবে ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.