কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান তুহিন (৩০) ও পৌর ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ মুন্সি (২৮) কে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছেন সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার হিজলহাটি ফার্ম বাজার এলাকায় সাওদান গার্মেন্টসে গেইটে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলার সিনাবহ বাগাম্বর এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে নাজমুল হাসান তুহিন ও একই উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোড়া পাম্প এলাকার ইয়াকুব মুন্সির ছেলে আরিফ মুন্সি (২৪)।
অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়া থানার বাড়ইপাড়া এলাকার সফি মৃধার ছেলে শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সুমন মৃধা, ফরিদ মৃধার ছেলে শাহেদ মৃধা, আলীম মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়াস, কালাম, মেহেদি, সৌরব, সুরুজ, জিহান, শাহীনসহ অঞ্জাত নামা আরো ১৫ জন।
স্থানীরা ও আহতদের পরিবার সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার হিজলহাটি এলাকার পলমল গার্মেন্টস জুট ব্যবসা করে আসছিলো। কয়েকদিন আগে তুহিনের সাথে জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীদের সহায়তায় মিমাংসা হয়।
বৃহস্পতিবারে কারখানা থেকে জুট মালামাল বাহির হবে এ জন্য নাজমুল হাসান তুহিন ও আরিফ মুন্সি পলমল কারখানার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে উপজেলার হিজলহাটি ফার্ম বাজার সাওদান গার্মেন্টস গেইটের সামনে আসলে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা সুমন মৃধা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী দল তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা হাতুড়ী ও এসএস পাইপ দিয়ে তুহিন ও আরিফ কে মারাত্বক ভাবে আহত করে। এসময় আহতদের ডাক চিৎকারে আসে পাশের লোকজন চলে আসলে অভিযুক্তরা হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে আহতদের কাছ থেকে নগদ ২৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা ও দুইটি সামসং এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় তুহিনের ভাই পাভেল মিয়া বলেন বেশ কয়েকদিন ধরে পলমল কারখানার জুট মালামাল নিয়ে ব্যবসায় বাধা দিচ্ছে আজকে সকালে কারখানায় মালামালের ডিও কাটার জন্য। টাকা জমা দেয়ার জন্য তুহিন ও আরিফ যাচ্ছিল এ সময় সুমনের নেতৃত্বে ১০-১২টি মটর সাইকেল তাদের ধাওয়া করে সাওদানের গেইটের সামনে তাদের পথরোধ করে হামলা চালায় পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের একটি টহল দল এগিয়ে আসলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলাে প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী খান বলেন এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।