গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালীর গাছবাড়ী এলাকায় ফাইভ স্টার নামক মৎস্য খামারের (ঠাটা খামার) ৫ বছর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও খামারের পানি শুকিয়ে খামার কমিটির (জমিদাতাদের) কাছে হস্তান্তর করেনি খামার মালিক কতৃপক্ষ। এতে করে গোয়ালিয়া নদীর ব্রীজ ও রাস্তার র্নিমান কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ খামারের জমিদাতা ও এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী ও জমিদাতা সূত্রে জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী খামারটি ৫ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু খামারটির লিজের মেয়াদ শেষ হবার পরও খামারটির পানি শুকিয়ে কমিটির কাছে হস্তান্তর করেনি খামার মালিক। অপর দিকে খামারটির পানি না শুকানোর কারনে গোয়ালিয়া ব্রীজের এক পাশের প্রোডাকশন দেয়াল ও ব্লকের কাজ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভোগান্তি তে পরেছে দুই পাশের গ্রামবাসীরা।
এ ব্রীজের নির্মাণ কাজে ব্যায় হয়েছে ৮ কোটি ২৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৩৭ টাকা। অথচ খামারের পানি ছেরে দিয়ে না শুকানোর কারনে ব্রীজের এক পাশের প্রোডাকশন ওয়াল ও ব্লকের কাজ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রয়েছে। এমনকি এর কারণে রাস্তার কাজ দুই পাশেই বন্ধ রয়েছে। খামারের পানি না শুকানোর কারনে নতুন করে গাছবাড়ী পাকার মাথা থেকে প্রায় ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সাড়ে ৩ কি মি রাস্তা টেন্ডার হওয়ার পরও কাজ বন্ধ রয়েছে সড়কের র্নিমান কাজ।
এ বিষয়ে জমিদাতা সোলায়মান কবির জানান, চুক্তি অনুযায়ী খামারটির মেয়াদ শেষ হবার পরেও খামারটি এখনো শুকিয়ে দিচ্ছে না। তাদেরকে বার বার বলা সত্বেও তারা কোন কথাও শুনে না।
খামার কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল আলীম (মাষ্টার) জানান, চুক্তি অনুযায়ী ফাইভ স্টার মৎস্য খামারের মেয়াদ শেষ। কিন্তু খামারিকে খামারটি অনেকবার শুকিয়ে দেওয়ার কথা বললেও খামারটি এখনো শুকিয়ে দেয়নি। এমনকি আমরা নোটিশ পর্যন্ত দিয়েছি তাতেও কোন কাজ হয়নি।
ফাইভ স্টার মৎস্য খামারের বর্তমান মালিক ছামান উদ্দিন জানান, ইজারার চুক্তি অনুযায়ী ফাইভ স্টার মৎস্য খামার সুনামের সহিত চাষ করে আসছি। আবার নতুন করে আমরা পাঁচ বছরের জন্য লিজ নিব, জমিদাতাদের সাথে কথা চলতেছে।
বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন জানান, গোয়ালিয়া নদীর ব্রীজের পূর্ব পাশে মাছের খামারের লিজের শর্ত অনুযায়ী মেয়াদও শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে অনেকবার মিটিং করা হয়েছে কিন্তু ফাইভ স্টার মৎস্য খামারে মালিকরা পানি শুকানোর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে রাস্তায় কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী বিপ্লব পাল জানান, ওই রাস্তায় কাজ যাতে তারা তারি হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, ওই খামারের মালিকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।