গাজীপুরের মৌচাকে স্কাউটরা তাঁবুর সামনের আঙিনায় কাঁদা মাটির লেপ দিচ্ছে। আর এই এরিনার উপরে থাকছে নানা রঙের সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন গ্যাজেট। যা দেখলে মনে হয় পুরো জাম্বুরিতে যেন তঁাবু বর্ণিল করে সজ্জিত করার এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ৩২ তম এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি-২০২৩ এর উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি (এমপি)।মৌচাকের জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকতার্রা জানান, “সাবাস—শক্তির ফোয়ারা” এই প্রতিপাদ্যে ৯ দিন ব্যাপী ৩২ তম এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি-২০২৩ কেন্দ্রে দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত করছে অংশ নেওয়া স্কাউটস ও কর্মকতার্রা। এতে প্রায় সাড়ে ৯’শত স্কাউট দল, স্কাউটার, কর্মকর্তা, রোভার ভলান্টিয়ার এবং বিভিন্ন দেশ হতে আগত স্কাউটারসহ ১১ হাজার জনের অংশগ্রহণে মুখরিত জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি এলাকা জুড়ে।
প্রথম দিনেই অংশগ্রহণকারী স্কাউট দলগুলো বেছে নিয়েছে তাদের তাঁবু। তাঁবু পাওয়ার পর তাদের শুরু হয় সেটাকে সব তাবুর চেয়ে আকর্ষণীয় ও সুন্দর করার মহাযজ্ঞ। প্রতিদিন সকালে ধারাবাহিক ভাবে তঁাবু পরিদর্শনের অংশ হিসেবে নিজ তাঁবু বা গৃহকে শৈল্পিক রুপ দিতে সকালে ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে চলে তাদের শিল্পকর্ম।
তাই স্থানীয় ভাবে তারা বিভিন্ন অবকাঠামো সংগ্রহ করতে বের হয় যেন নিজস্ব তাঁবুকে সবার চেয়ে ভিন্ন রুপ দেওয়া যায়। সংগৃহীত ওইসব সরঞ্জামাদি দিয়ে তারা তাঁবুর বিভিন্ন গ্যাজেট, চুলা, পানি পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেন, এরিনা, গেইট, পুকুর তৈরি করছে। এছাড়াও নিজস্ব তাঁবুকে রঙিন সাজে সজ্জিত করতে অনেকেই রঙ বেরঙের কাগজ দিয়ে ফুলদানি, গেইট, এরিনার রশি, গ্যাজেট সাজাচ্ছে।
বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় উপ কমিশনার (পিআরএম) মীর মো: ফারুক জানান, শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জাতীয় জাম্বুরির চত্বরে স্কাউট কর্মকতার্দের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকেই মুল যজ্ঞ শুরু হবে।