গাজীপুর

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষায় গভীর মনোযোগ দিয়েছে সরকার -মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষার ধারনা নিয়েই সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশসহ অনেকগুলো টেকনিক্যাল কলেজ, ভোকেশনাল স্কুল এবং ট্রেনিং সেন্টারের বিষয়ে গভীর মনোযোগ দিয়েছে।

০৭ জানুয়ারি,২০২২ (শনিবার) দুপুরে ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলার শুভ উদ্বোধন ও চাকরি মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী একথা বলেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড: মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড: মো: গিয়াস উদ্দীন মিয়া, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী আরও বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ড: কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন এবং রিপোর্টও হাতে পেয়েছিলেন।সেই রিপোর্টে স্পষ্ট করে কারিগরি এবং ভোকেশনাল শিক্ষার কথা বলা ছিলো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা সেই রিপোর্ট বাস্তবায়ন করে যেতে পারেন নি।কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড: মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলামের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাননীয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মাননীয় উপাচার্য যথার্থই বলেছেন যে,“ইন্ডাস্ট্রির যে ধরনের লোকবল প্রয়োজন তা আমাদের জানালে আমরা ইন্ডাস্ট্রির মতো করে প্রস্তুত করে দিবো”। এটাই আমাদের চাহিদা এবং এটাই আমাদের প্রয়োজন। আমাদের দেশকে স্বাবলম্বী করতে হলে আমাদেরে যে সকল শিল্প-কারখানা আছে বা যেখানে চাকরি দেয়া হয় সেই চাকরি করার জন্য যে যোগ্যতার প্রয়োজন তা আমাদের অর্জন করতে হবে। সেই বিষয়টি আমাদেরে আগে বুঝতে হবে তারপর প্রয়োজনীয় শিক্ষা বা দক্ষতাটি আমাদের শিক্ষার্থীদের দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড: মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট জনশক্তি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর দিকনির্দেশনায় আজকের তরুণ প্রজন্মকে সঠিক উপায়ে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস এই তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে বদলে দিবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়ে বাংলাদেশের এই তরুণরা সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে।

মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড: মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো সনাতন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিচ্ছি। ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড শিক্ষা থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইন্ডাস্ট্রি উপযোগী করে গ্রাজুয়েট তৈরি করবে। সরাসরি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারবে এবং ইন্ডাস্ট্রিকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে এমন গ্রাজুয়েট যদি আমরা তৈরি করতে পারি তাহলে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে সত্যিকারের স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে পারবো।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ এ আমরা যে বিষয়গুলো চালু করেছি বা চালু করতে যাচ্ছি প্রত্যেকটি বিষয় বর্তমান বিশ্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার উপযোগী।আমরা আইওটি ও রোবটিক্স এর উপর ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রদান করছি। সাইবার সিকিউরিটি,গেম ডেভেলপমেন্ট,মেশিন ইন্টেলিজেন্স, ডাটা সাইন্স এর মতো বিষয়গুলোর উপর শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দিচ্ছি এবং ইন্ডাস্ট্রি উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

মাননীয় উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রির সাথে এক হয়ে কাজ করতে আগ্রহী। ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কোন কোন যোগ্যতার গ্রাজুয়েট প্রয়োজন তা আমাদের জানতে পারেন।আমরা সেই যোগ্যতা সম্পন্ন গ্রাজুয়েট ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে উপহার দিতে চাই। আমাদেরে কারিকুলামসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে যুক্ত করতে চাই। শিক্ষা পদ্ধতিকে আমরা ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড করতে চাই।

দুই দিনব্যাপী এই মেলায় ৪০ টির মতো প্রখ্যাত শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড: মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং এমন একটি চমৎকার আয়োজনের জন্য গাজীপুরের জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং ধন্যবাদ জানান।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker