গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার টান-কালিয়াকৈর এলাকা থেকে গত চারদিন আগে নিখোঁজ হওয়া ময়লান হোসেন (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের লাশ রোববার সকালে কাশিমপুর মেট্রো থানার ভবানিপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছেন। শশুরকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ মেয়ের জামাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত হলেন, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার টান-কালিয়াকৈর এলাকার মৃত ইব্রাহীমের ছেলে ময়নাল হোসেন (৭৫)। অপরদিকে গ্রেপ্তাররকৃতরা হলেন, টাংঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার শুকতা গ্রামের আরজ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এবং গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে থানার পূর্ব চান্দরা এলাকার কফিলউদ্দিন ছেলে হিরা (২৮)।
নিহতের পরিবার, অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গাজীপুর কালিয়াকৈর এলাকার ময়নাল হোসেনের মেয়ে শিল্পীর সাথে আসামি শহিদুল ইসলামের চার মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী শিল্পীকে মারধর করতেন। শশুরকে চাপ দিয়ে ও কৌশলে শশুরের কাছ থেকে একাধিকবার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায় শশুর মেয়ের জামাইয়ের দাবীকৃত টাকা দিতে অশ্বীকৃতি জানালে বুধবার শশুরকে মেয়ের জামাই সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে কৌশলে অপহরণ করে। এদিকে মেয়ে বাবাকে অনেক খোঁজা খোঁজির পর না পেয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ দীর্ঘ দিন চেষ্টা করে সাভার আশুলিয়ার বাদাইল থেকে মেয়ের জামাই শহিদুলকে আটক করে। আটকের পর তার তথ্য মতে গাজীপুরের কাশিমপুরের ভবানীপুর ছাত্তারের বাড়িতে নিয়ে শশুর ময়নুলকে খুন করে বলে স্বীকার করেন। পরে পাশের একটি পুকুর পাড়ের জঙ্গলে ফেলে রাখেন লাশটি বলে জানায়।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আকবর আলী খাঁন জানান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের আটক করি। পরে মেয়ের জামাই শহিদুলের তথ্য মতে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে লাশটি ময়নাত দন্তের জন্য গাজীপুর তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়ে শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।