গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বক্তারপুর এলাকা থেকে গত ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত ৯ টার দিকে দশ বারোজনের সশস্ত্র একদল ডাকাত রাস্তা থেকে চারজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বক্তারপুর কালামপুর সরকারি বনের ভিতর নিয়ে যায়। পরে হাত পা চোখ মুখ বেঁধে আটকে রেখে কয়েক দফায় বিশ হাজার টাকা মুক্তি পণ আদায় করে।
ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, উপজেলার কালাম পুর ও বক্তারপুর এলাকার সুমন, (১৮) পিতা সাইজুদ্দিন, নয়ন (১৮) পিতা শফিকুল ইসলাম, বাইজিদ (১৮) পিতা বাচ্চু মোল্লা ও অজ্ঞাত আরও একজন ব্যক্তি কে বক্তারপুর রেল লাইন এলাকা থেকে দশ বারোজনের ডাকাতদল দেশীয় অস্রের মুখে অপহরণ করে বনের ভিতর নিয়ে গিয়ে হাত পা চোখ মুখ বেঁধে মারপিট করে।
নয়ন জানান, তারা পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি জানাজা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তারপর রেললাইন সংলগ্ন স্থানে আসার সাথে সাথে ডাকাত দল তাদের গতিরোধ করে এবংদেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে বনের ভেতরে নিয়ে যায়। নয়ন, বাইজিদ, ও সুমনের গায়ের জামা দিয়ে হাত পা মুখ বেঁধে ফেলে এবং বেদম মারপিট শুরু করে বাইজিদ নয়নের ও সুমনের পরিবারের কাছে ফোন করে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে টাকা দিতে না পারলে তাদের হত্যা করা হবে বলে ফোনে তারা জানায় এবং যখন সুমন বাইজিদ ও নয়ন তাদের বাবা-মার সাথে ফোনে কথা বলে তখন বেদম মারপিট করে শব্দ শুনানো হয়।
ইতিমধ্যেই সুমনের বাবা কালিয়াকৈর থানাকে বিষয়টি অবহিত করলে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সাথে সাথে তাদের উদ্ধার অভিযান শুরু করে রাত ৯ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কালামপুর বক্তারপুরসহ আশপাশের এলাকা চষে বেড়ান কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পাওয়ায় ডাকাতরা তাদের ফেলে চলে যায়। পরে সুমন বুঝতে পারে তার পাশে বায়েজিদ ও নয়ন কেউ বেঁধে রাখা হয়েছে পরে নয়ন হামাগুড়ি দিয়ে সুমনের কাছে আসে এবং কৌশলে নয়ন দাঁত দিয়ে নয়নের বাধন খুলে দেয় পরে একে একে সবাই যখন পা চোখ মুখ রাধামুক্ত ততক্ষণে ডাকাত দলের সদস্যরা এলাকা থেকে চম্পট দেয়। ১২ এপ্রিল সকালে ভূক্তভোগীরা কালিয়াকৈর থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইন্চার্জ আকবর আলী খান জানান, গত ১১ তারিখ রাতে ঘটনা শুনে উল্লেখিত স্থানসহ আশপাশের এলাকায় ব্যপক তল্লাশি অভিযান করা হয়েছে। আজ ১২ এপ্রিল দুপুরে একটি অভিযোগ পেয়েছি এ ব্যপারে টহল আরও জোরদার করা হবে এবং কালিয়াকৈর হতে বক্তার পুর, কালামপুর, সিনাবহ ও বড়ই বাড়ি এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হবে। এ রকম ঘটনা রুধে সম্ভব সব কিছু করা হবে।