জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছে। এতে পূর্ব ঘোষিত সিন্ধান্তে, শুক্রবার সকাল থেকেই মহাসড়কে কোন ধরণের যানবাহন চলছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে মহাসড়কের কিছু স্থানে পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর), সকালে সরেজমিনে দেখা যায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্র ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চন্দ্রা চৌরাস্তা, টঙ্গী, চেরাগ আলী কলেজ গেইট, বাসন সড়ক এলাকাসহ এতে সাধারণ মানুষসহ তৈরি পোষাক কারখানা ও বিভিন্ন কলকারখানা শ্রমিকরা, যানবাহন না থাকায় পড়েছে প্রচন্ড ভোগান্তিতে।
গাজীপুরস্থ বিভিন্ন মহাসড়কে দেখা যায়, ধর্মঘট শুরু হওয়ায় কোন বাস চলছে না। তবে রাতে যে সকল গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করেছে। সেই সব গাড়ি ফিরতে দেখা গেলেও কোন যাত্রী নিচ্ছে না। এতে শতশত সাধারণ মানুষ রাস্তার পাশে দাড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ কাজে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজি ও মোটরসাইকেলে অনেকেই যাচ্ছে গন্তব্যে।
এদিকে আশুলিয়া থানাধীন নবীনগর টু চন্দ্রা মহাসড়কে বাড়ই পাড়া এলাকায় যানবাহনের শ্রমিকদের দেখা গিয়েছে, মহাসড়কের মাঝ বরাবর যাত্রীবাহী বাস রেখে লাঠিসোটা নিয়ে আন্দোলন করতে। এ সময় ঢাকা থেকে আসা দুর পাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ শতাধিক যানবাহন মহাসড়কে আটকা পড়ে। এতে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। পরে সালনা হাইওয়ে থানার পুলিশও আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
বগুড়াগামী একটি বাসের চালক আব্দুল মতিন বলেন, আমরা ফিরে যাচ্ছি তবে কোন যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না। গাড়ি বগুড়া ফিরে যাচ্ছে কিন্তু সেখান হতে আর গাড়ি ছাড়বো না। আমাদের মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত যেটা ওটাই মেনে চলবো।
সালনা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মীর গোলাম ফারুক জানান, যানচলাচলে অনেক মহাসড়ক ফাঁকা ছিলো। দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিলেও সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।