ঢাকার কামরাঙ্গীচরে ১৪ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের সুরতহালের পর পুলিশ জানিয়েছে কিশোরটির পায়ুপথে যৌন নিপীড়নের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরিবার জানিয়েছে, মারা যাওয়ার তিন দিন আগে শিশুটি হাফেজি শেষ করে পাগড়ি পেয়েছিল। এরপর ছুটি পেয়ে বাসায় এসেছিল।
পুলিশের ধারনা, যৌন নির্যাতনের বিষয় কিশোরটি কাউকে জানাতে না পেরে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
সোমবার দিবাগত রাতে কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর ৯ নং গলি মক্কা টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় নিজদের ফ্লাট থেকে কিশোরটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কিশোরটির নাম মো. শরিফুল ইসলাম (১৪)। সে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ পাকসা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
শরিফুল কামরাঙ্গীর চরে নুরিয়া মাদরাসায় হাফেজি পড়তো এবং সেখানেই থাকতো। গত শুক্রবার হাফেজি শেষ করে পাগড়ি পেয়েছিল শরিফুল। এরপর ছুটি পেয়ে ওইদিনই পূর্ব রসুলপুরের বাসায় ফেরে।
বড়ো ভাই শাহীন হাসান বলেন, শরিফুল হাফেজি পাশ করার পর গত শুক্রবার পাগাড়ি পায়। পরে তিন দিনের ছুটিতে বাড়িতে আসে। তিন দিন শেষ হলে বাবা তাকে মাদরাসায় যেতে বলেন। কিন্তু সে বলে আজ যাবনা, কাল সকালে যাবো। পরে রাতে সে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখে। রাত ১১টার দিকে ডাকাডাকি করে কোনো শব্দ না পেয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায় সে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমরা আত্মহত্যার করার মতো কোনো কারণ জানতে পারেননি।
কামরাঙ্গীচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাধা বর্মণ জানান, পূর্ব রসুলপুরের তাদের বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর রাত পৌনে দুইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, সুরতহাল করতে গিয়ে দেখা গেছে, কিশোরটি পায়ুপথে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
তাদের ধারনা, শরিফুল নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বা হয়েছেন এই বিষয়টি কাউকে বলতে না পারায় অভিমানে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
এছাড়াও আর অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।